পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ২০২২ সালে ১০ কাঠা করে ছয়টি প্লট বরাদ্দ নেন পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা। রাজধানীতে প্লট থাকার পরও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে রাজউক থেকে অবৈধভাবে প্লট গ্রহণ করায় গত মার্চে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও তাদের সন্তানসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আসামির তালিকায় রয়েছেন রাজউকের ২০ কর্মকর্তাও। তাদের ধরতে তৎপরতা শুরু করেছে দুদক।
দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. শাহজাহান সাজু বলেন, অপরাধের সহযোগী হিসেবে রাজউক কর্মকর্তাদেরও আইনের আওতায় আনা উচিত।
আরও পড়ুন: সুধাসদনসহ শেখ পরিবারের ৭ প্লট-ফ্ল্যাট জব্দ
অনৈতিকভাবে প্লট গ্রহণের প্রমাণ মিললেও শেখ পরিবারের বরাদ্দ বাতিলের ক্ষমতা নেই জানিয়ে রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘একবার যদি দলিল হয়ে যায়, তাহলে সেটা শুধু আদালত বাতিল করতে পারবেন। রাজউক চাইলেই বাতিল করে দিতে পারে না। তবে বাতিল প্রক্রিয়াটা আমরাই করব।’
শেখ পরিবারের বিষয়টি ছাড়াও পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান রাজউক চেয়ারম্যান।
]]>