সোমবার (৫ মে) জাতীয় নাগরিক পার্টির গাজীপুর জেলা ও মহানগর প্রতিনিধি খন্দকার আল আমিন বাদী হয়ে প্রায় শতাধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে জেলার বাসন থানায় ওই হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
এ দিকে এ ঘটনায় আটক ৫৪ জনের মধ্যে ৪৫ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এর আগে গাজীপুরে হাসনাত আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীদের ওপর হামলার ঘটনায় রোববার (৪ মে) রাতে অভিযান চালিয়ে ৫৪ জনকে আটক করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)।
আরও পড়ুন: হাসনাতের ওপর হামলার ঘটনায় যুবলীগ নেতাসহ আটক ৫৪
আটকদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- গাজীপুর মহানগর যুবলীগের সদস্য মো. নিজাম উদ্দিন এবং কাশিমপুর থানার শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি মাসুম আহমেদ দিপু।
জিএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রবিউল ইসলাম সময় সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে আটক বাকিদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রোববার (৪ মে) সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে হাসনাতের ওপর হামলার কথা জানান এনসিপি’র আরেক মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। হাসনাতের লোকেশন জানিয়ে তাকে উদ্ধারে দলের নেতাকর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হাসনাতের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ১২, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ
ফেসবুক পোস্টে সারজিস লেখেন, ‘হাসনাতের গাড়িতে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী গাজীপুর এলাকায় হামলা চালিয়েছে। গাড়ির গ্লাস ভেঙে গিয়েছে, হাত রক্তাক্ত হয়েছে। আশপাশে যারা আছেন হাসনাতকে প্রটেক্ট করুন, কমেন্টে লোকেশন দিচ্ছি।’
সারজিসের পোস্ট অনুযায়ী, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় হাসনাতের গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।
এ দিকে, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীদের ওপর হামলার ঘটনায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।