সোমবার (১৯ মে) দুপুরে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ মোল্লা টিপু।
মামলায় ছাত্রদল নেতাসহ পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন: কুমিল্লা নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মসাগরের পশ্চিমপাড় এলাকার রশিদ মিয়ার ছেলে ছাত্রদল নেতা মো. মহসিন, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার আশরাফপুর ইয়াসিন মার্কেট এলাকার সালাউদ্দিন ওরফে রকি, কুমিল্লা শাসনগাছা দফাদার বাড়ি এলাকার মো. সোহাগ হোসেন, কুমিল্লা নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড কালিয়াজুরী এলাকার সাইফুল ইসলাম ও কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মারুফ আহমেদ।
মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৭ মে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে উল্লিখিত আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ৩০ জন অবৈধ অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো চাপাতি, লাঠিসোঁটা ও রড নিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ রোডে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আসে।
এ সময় তারা কুমিল্লা মহানগর ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত কমিটি বাতিলের লক্ষে উস্কানিমূলক স্লোগান দিতে থাকে। আসামিরা উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে রাস্তায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং জনমনে আতঙ্ক ও ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বিএনপির কার্যালয়ে আগুন, দোষীদের গ্রেফতারে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্তকে অমান্য করে বিএনপির কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে কার্যালয়ের দেয়ালে ঝুলানো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুরসহ কার্যালয়ের চেয়ার, টেবিল, গ্লাস, দরজা-জানালা ভাঙচুর করে।
এক পর্যায়ে দলীয় কার্যালয়ে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে কার্যালয়টির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
হামলাকারীরা এ সময় সামনের সড়কে অস্ত্র প্রদর্শন, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনের ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।