রোববার (৪ মে) রাত ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মুক্তমঞ্চ ময়দান থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন অংশগ্রহণকারীরা।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মো. আতাউল্লাহ। তিনি বলেন,
হাসনাত আব্দুল্লাহকে হত্যা করে তারা বিপ্লবীদের থামিয়ে দিতে চায়। হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায় আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাথে সিলেট-চট্টগ্রামের রেলপথ ও রাজপথ বিচ্ছিন্ন করে দেব। আমরা বলতে চাই, হাসনাতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
এসময় আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করারও আহ্বান জানান তিনি। বলেন, নৌকা মার্কাকে চিরতরে বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশে কোনো নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতীক হিসেবে নৌকা মার্কা থাকবে না।
আরও পড়ুন: হাসনাতের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ১২, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ
সভায় বোরহান উদ্দিন সিয়াম বলেন,
আমরা ছাত্র সমাজ একসাথে নেমে এসেছি হাসনাত ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলে দিতে চাই, অন্তর্বর্তী সরকার তুমি আমাদের ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছো। আমাদের নিরাপত্তা না দিতে পারলে ক্ষমতা ছেড়ে দাও। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি হাসনাত ভাইয়ের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হয়, আমরা আবার রাজপথে নেমে আসব।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক জিহান মাহমুদ, জেলা সদস্য জয়ন্তি বিশ্বাস, লিটন মিয়া, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ নেতা মোহাইমিনুল আজবিন, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ নেতা আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, রোববার (৪ মে) সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে হাসনাতের ওপর হামলার কথা জানান এনসিপি নেতা সারজিস আলম। হাসনাতের লোকেশন জানিয়ে তাকে উদ্ধারে দলের নেতাকর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আহ্বান জানান তিনি।
ফেসবুক পোস্টে সারজিস লেখেন, ‘হাসনাতের গাড়িতে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী গাজীপুর এলাকায় হামলা চালিয়েছে। গাড়ির গ্লাস ভেঙে গিয়েছে, হাত রক্তাক্ত হয়েছে। আশপাশে যারা আছেন হাসনাতকে প্রটেক্ট করুন, কমেন্টে লোকেশন দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলা: দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ
সারজিসের পোস্ট অনুযায়ী, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় হাসনাতের গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।
]]>