হালদায় আবারও ডিমে ভর্তি মা মাছের মৃত্যু

১ সপ্তাহে আগে
চট্টগ্রামের হালদা নদীতে আবারও কার্পজাতীয় মা মাছের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। জোয়ারের পানিতে মা মাছটি ভেসে এসেছিল। এটি মা মৃগেল বলে জানা যায়। ময়নাতদন্তের পর মাছটিতে প্রচুর পরিমাণ পরিপক্ব ডিম দেখা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের আজিমের ঘাট এলাকা থেকে মাছটি উদ্ধার করা হয়। মা মাছটির ওজন ছয় কেজি বলে জানা যায়। একই স্থান থেকে গত ৪ মে ৫ কেজি ওজনের আরেকটি মরা মা কাতলা মাছ উদ্ধার করা হয়েছিল।


রাউজান উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসাইন বলেন, মৃত মা মাছটির মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারালো কিছু দিয়ে এটির মাথায় আঘাত করা হয়েছে। ৪ মে উদ্ধার হওয়া মা মাছটির গায়েও ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।


এদিকে, সরঞ্জাম নিয়ে দুই থেকে তিন'শ ডিম সংগ্রহকারী নদীতে দিন রাত অবস্থান করছেন মা মাছেরা কখন ডিম ছাড়ে সে অপেক্ষায়।এর ভেতর নদীতে মা মাছ মরার এমন দুঃসংবাদে উদ্বিগ্ন জেলেরা। হালদায় প্রজনন মৌসুম শুরু হয়েছে দেড় মাস হতে চলল। এখনও নমুনা ডিমও ছাড়েনি মা মাছেরা। এর মধ্যে গত বছরের মতো একের পর এক মা মাছ মরা উদ্বেগের। কারণ, হালদার একেকটা মা মাছের ডিম থেকে কোটি টাকার মাছের উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রতিবছর।

আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মেরিটাইম প্রদর্শনী: অংশ নিতে চট্টগ্রাম ছেড়েছে ‘বানৌজা খালিদ বিন ওয়ালিদ’

নদী গবেষক এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ১০ দিনের ব্যবধানে ২টি মা মাছ মরে ভেসে ওঠা চিন্তার বিষয়। গত বছর প্রজনন মৌসুমেও একের পর এক মা মাছ মরে ভেসে উঠেছিল নদীতে।


তিনি আরও বলেন, আজিমের ঘাট সংলগ্ন স্থানে ভেসে উঠা মৃত মৃগেল ব্রুড মাছ। মৃত মাছের দৈর্ঘ্য ২ ফিট ৬ ইঞ্চি, প্রস্থ ৫ ইঞ্চি, ওজন ৫ কেজি ১০০ গ্রাম। আঘাতের কারণে মাছটি মারা যাওয়ার কারন চিহ্নিত করা হয়েছে। মাছটির গোনাড ভর্তি পরিপক্ব ডিম রয়েছে। পরবর্তীতে আইডিএফের মৎস্য কর্মকর্তা সুজন এবং হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির গবেষক শিহার নেওয়াজ সুরতহাল রিপোর্ট করে আইডিএফ হ্যাচারিতে মাটি চাপা দেয় মাছটিকে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন