বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের উত্তর ডিককূল এলাকায় কক্সবাজার হার্ভাড ইন্টারন্যাশনাল কলেজের হোস্টেলে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া মুনীর চৌধুরী উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পাইন্যাশিয়া এলাকার মোজাম্মেল হক চৌধুরীর ছেলে। সে কক্সবাজার হার্ভাড ইন্টারন্যাশনাল কলেজের মানবিক বিভাগের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র।
পুলিশের হেফাজতে শিক্ষার্থী মাহমুদুল হক (১৮) একই কলেজের একই শ্রেণী ও বিভাগের ছাত্র। সেও মুনীরের সঙ্গে কলেজ হোস্টেলের থাকতো।
মুনীরের চাচাতো ভাই আরাফাত চৌধুরী জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি উখিয়ার কোটবাজার স্টেশনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ফোনে কল করে তার চাচা জানান, কলেজ হোস্টেল কক্ষ থেকে মুনীরের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করার খবর দেয়া হয়েছে। খবরটি শোনার পরপরই তিনিসহ স্বজনরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এসময় হোস্টেলের ওই কক্ষে ঘিরে পুলিশসহ বেশ মানুষের ভিড় দেখতে পান। পরে কক্ষটির ভেতর গিয়ে দেখতে পান, সিলিংয়ের সঙ্গে মুনীরের মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। এসময় তার দুই পায়ের হাঁটু মেঝেতে লাগোয়া এবং দুই হাত শরীরের দুই পাশে খোলা ছিল।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘মুনীরকে ঝুলন্ত অবস্থায় যেভাবে মৃত পাওয়া গেছে সচরাচর আত্মহত্যার ঘটনাগুলো তেমনটা নয়। আত্মহত্যার ঘটনা হলে তার পা দুটি মেঝে থেকে অন্তত কিছুটা উপরে থাকতো।’
মুনীরের মামা মীর মোরশেদ বলেন, মুনীরের গলার দুপাশে আঙ্গুলের চাপ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো বিষয়ে বিরোধের জের ধরে হোস্টেলের একই কক্ষে বসবাসকারী কেউ অথবা অন্য কেউ শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করেছে। পরে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে সাজাতে মরদেহ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াছ খান বলেন, খবরটি শোনার পর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হোস্টেল কক্ষ থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফ্ল্যাট থেকে নটরডেম শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ খোঁজখবর নিচ্ছে। ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুনীরের সঙ্গে একই কক্ষে বসবাসকারী মাহমুদুল হক নামের এক ছাত্রকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
]]>