হার্টবিট বন্ধ হয়ে গেলে তাৎক্ষনিক চিকিৎসা সিপিআর, জানুন নিয়ম

৩ সপ্তাহ আগে ১০
হার্টবিট বন্ধ হয়ে গেলে (কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট) সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) দেয়া জীবন রক্ষার অন্যতম উপায়। এটি দ্রুত ও সঠিকভাবে দিলে একজন মানুষের জীবন বাঁচতে পারে।

জেনে নিন সিপিআর দেয়ার ধাপ-

ধাপ ১: রোগীর সাড়া পরীক্ষা করুন

রোগীর কাঁধে ঝাঁকি দিন এবং জোরে জোরে ডাকুন: "আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন?"

যদি রোগী সাড়া না দেয়, তাহলে দ্রুত ৯৯৯-এ ফোন করুন বা আশপাশের কাউকে ডাকুন।


ধাপ ২: শ্বাস-প্রশ্বাস পরীক্ষা করুন

রোগীর বুক ওঠানামা করছে কিনা দেখুন।

মুখ ও নাকের কাছে কান নিয়ে যান, কোনো শ্বাস নেয়ার শব্দ বা বাতাস বের হওয়ার অনুভূতি আছে কিনা দেখুন।

যদি শ্বাস না থাকে বা স্বাভাবিক না হয়, তাহলে সিপিআর শুরু করুন।

 

আরও পড়ুন: হার্টে রিং পরালে ঝুঁকি কমে?


ধাপ ৩: বুক চেপে সিপিআর শুরু করুন

বুকের মাঝখানে (স্টার্নামের ওপর) হাত রাখুন।

দুই হাত একসঙ্গে রেখে হাতের গোড়ালি দিয়ে চাপ দিন।

কনুই সোজা রেখে শরীরের ওজন ব্যবহার করে প্রতি সেকেন্ডে ২ বার চাপ দিন।

গভীরতা: কমপক্ষে ২ ইঞ্চি (৫ সেমি) গভীর চাপ দিন।

হার: প্রতি মিনিটে ১০০-১২০ বার চাপ দিন।


ধাপ ৪: কৃত্রিম শ্বাস দিন (যদি প্রশিক্ষিত হন)

মাথা পেছনে হেলিয়ে চিবুক ওপরে তুলুন (এয়ারওয়ে খুলতে)।

রোগীর নাক চেপে ধরে মুখে মুখ রেখে ২ বার শ্বাস দিন (প্রতিটি শ্বাস ১ সেকেন্ডের)।

এরপর আবার ৩০ বার বুক চাপুন, তারপর ২টি শ্বাস দিন।


ধাপ ৫: সিপিআর চালিয়ে যান

যতক্ষণ না রোগী শ্বাস নেয় বা চিকিৎসক আসে, ততক্ষণ সিপিআর চালিয়ে যান।

 

আরও পড়ুন: হার্ট ব্লকের লক্ষণ ও বাঁচার উপায় কী?


গুরুত্বপূর্ণ টিপস-

সিপিআর করতে ভয় পাবেন না, কারণ ভুল করার চেয়ে না করা বেশি বিপজ্জনক।

শিশু বা বাচ্চাদের সিপিআর দেয়ার নিয়ম কিছুটা ভিন্ন (১ হাত বা ২ আঙুল ব্যবহার করতে হয়)।

সিপিআর করার সময় বেশি জোরে বা ধীরে করবেন না, ১০০-১২০ কমপ্রেশন/মিনিট হার বজায় রাখুন।


এটি একটি জরুরি প্রক্রিয়া, তাই সিপিআর শেখার জন্য প্রশিক্ষণ নেয়া ভালো।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন