হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ সানরাইজার্সের

২ সপ্তাহ আগে
হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এইচসিএ) সভাপতি জগন মোহন রাওয়ের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল, বলপ্রয়োগ এবং স্টাফদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ এনেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এমনকি লক্ষ্নৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ম্যাচের আগে রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের কর্পোরেট বক্সগুলো তালাবদ্ধ করা এবং বিনামূল্যে অতিরিক্ত টিকিট দেয়ার জন্য চাপ দেয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে রাওয়ের বিরুদ্ধে।

চেন্নাই ভিত্তিক সান গ্রুপের মালিকানাধীন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) এবং আইপিএল পরিচালনা কমিটিকে বিষয়টি জানিয়েছে। সমাধানের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠকের আহ্বানও জানিয়েছে।

 

তবে এইচসিএ সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেও অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, প্রধান নির্বাহী ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে সানরাইজার্স কর্তৃপক্ষ।

 

সানরাইজার্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জগন মোহন রাও আমাদের কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছেন, ব্ল্যাকমেইল করছেন। এমনকি আইপিএল শুরুর আগেই তিনি আমাদের স্টাফদের হুমকি দিয়েছেন, যা তারা প্রমাণস্বরূপ ই-মেইলে উল্লেখ করেছেন।’

 

আরও পড়ুন: রাজস্থানের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ককে ১৭ লাখ টাকা জরিমানা

 

হায়দরাবাদ কর্তৃপক্ষ আরও অভিযোগ করে, রাও স্বাভাবিক পদ্ধতি এড়িয়ে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য টিকিট এবং পাসের বরাদ্দ চেয়েছিলেন। আইপিএল শুরুর কয়েকদিন আগে, এইচসিএ-র সভাপতি হঠাৎ বললেন যে তিনি চান আমরা প্রতি ম্যাচে ১০% টিকিট (প্রতি ম্যাচে ৩৯০০ টিকিট) তার জন্য ক্রয়ের জন্য ব্লক করে রাখি। এটা এইচসিএ-কে আমরা যে ৩৯০০টি কম্প্লিমেন্টারি টিকিট দিই, তার অতিরিক্ত। তার দাবি আমরা প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, এতে হায়দরাবাদের সমর্থকদের টিকিটের ঘাটতি পড়বে এবং এটি টিকিট বিক্রির স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করবে।

 

কিন্তু তিনি জোর দিয়ে বলেন যে প্রতিটির জন্য আলাদা ক্রয় লিঙ্ক সহ ন্যূনতম ২৫০০টি টিকিট রাখতে হবে। যদি আমরা তার ক্রয়ের জন্য টিকিট ব্লক না করি তাহলে তিনি আমাদের সহযোগিতা করবেন না। অনিচ্ছায় আমাদের কোনো উপায় না থাকায় আমরা তার জন্য ১০০০ টিকিট ব্লক করতে রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের স্টাফদের উপর চিৎকার করে বললেন যে এটা অগ্রহণযোগ্য, তাই আমরা এটি বাড়িয়ে ২০০০ টিকিট করেছি। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে আমরা আলাদা পেমেন্ট লিঙ্ক দিতে পারব না। কারণ এটি টিকিট ক্রেতার পরিচয় নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করে এবং পরবর্তীতে কালোবাজারে বিক্রির সম্ভাবনা তৈরি করে।

 

আরও পড়ুন: চেন্নাইকে হারিয়ে রাজস্থানের প্রথম জয়

 

পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য সানরাইজার্স কর্তৃপক্ষ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে। দলটির দাবি, বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে চেয়েছিল তারা। তবে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কর্পোরেট বক্স তালাবদ্ধ করে ব্ল্যাকমেইল করায় তারা অভিযোগ তুলতে বাধ্য হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন