হামলার তথ্য ফাঁস: জেরার মুখে তুলসী গ্যাবার্ডসহ ৩ মার্কিন কর্মকর্তা

৩ সপ্তাহ আগে
ইয়েমেনে হুতিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার গোপন তথ্য ভুল করে সাংবাদিকের কাছে ফাঁস হওয়ায় এবার জেরার মুখে পড়েছেন মার্কিন তিন শীর্ষ কর্মকর্তা। সিনেটে রুদ্ধদ্বার শুনানিতে ডেমোক্র্যাটদের তীক্ষ্ণ প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হন তুলসী গ্যাবার্ড, জন র‌্যাটক্লিফ ও ক্যাশ প্যাটেল।

বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ সিগন্যাল-এ সামরিক পরিকল্পনা সংক্রান্ত গ্রুপ চ্যাটে এক সাংবাদিককে যুক্ত করা নিয়ে তোলপাড় মার্কিন রাজনীতি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে এ নিয়ে শুরু হয় শুনানি। জেরার মুখে পড়েন তিন শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা। 

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-সিআইএ’র পরিচালক জন র‌্যাটক্লিফ ও কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা-এফবিআইয়ের পরিচালক ক্যাশ প্যাটেল।

 

এ সময় সিগন্যাল গ্রুপের ঘটনাটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন রিপাবলিকান পার্টির আইনপ্রণেতারা। তুলসী গ্যাবার্ড ও জন র‌্যাটক্লিফ উভয়ে ওই চ্যাটে গোপনীয় তথ্য থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। পাশাপাশি সিগন্যাল গ্রুপের মাধ্যমে যোগাযোগ করার অনুমোদন রয়েছে বলেও জোর দিয়ে বলেন সিআইএ’র পরিচালক। 

 

আরও পড়ুন: গোপন চ্যাট গ্রুপে সাংবাদিক, ট্রাম্পের যুদ্ধ পরিকল্পনা ফাঁস! 

 

কিন্তু যখন স্পর্শকাতর সামরিক অভিযান সংক্রান্ত তথ্য ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের ওপর আসন্ন হামলার বিষয়ে ছিল কি না প্রশ্ন করা হয়, তখন বিষয়টিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের ওপর ছেড়ে দেন তুলসী ও র‌্যাটক্লিফ। এসময় পিট হেগসেথের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবেন বলে জানান তারা। 

 

এর আগে পিট হেগসেথ দাবি করে বলেন, ওই বার্তা আদান প্রদানে যুদ্ধ পরিকল্পনার বিষয়ে কিছুই ছিল না।

 

তথ্য ফাঁসের দায় স্বীকার করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ। এ বিষয়ে ইলন মাস্ককে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। যদিও বিষয়টিকে হালকাভাবেই দেখছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের এক সংবাদ সম্মলনে তিনি দাবি করেন, ওই গ্রুপ চ্যাটে গোপনীয় কিছু ছিল না। তবে ভবিষ্যতে জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সম্ভবত এটি আর ব্যবহার করবেন না বলেও জানান ট্রাম্প। 

 

আরও পড়ুন: ইয়েমেনের রাজধানীতে মার্কিন বিমান হামলা

 

এর আগে, হুতিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার গোপন তথ্য ‘ভুল করে’ একজন সাংবাদিকের কাছে ফাঁস হয়ে যায়। বিষয়টি আটলান্টিক ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে উঠে আসার পর নড়েচড়ে বসে ট্রাম্প প্রশাসন। বিষয়টিকে নিরাপত্তার লঙ্ঘন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন