বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাতে ঘরের মাঠে মালদ্বীপকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে সিঙ্গাপুর। এর আগে গত ছয় মাসে ৬ ম্যাচ খেললেও জয়ের দেখা পায়নি সিঙ্গাপুর। গত মার্চে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে হংকংয়ের সঙ্গে ড্র করেছে তারা। তার তিন দিন আগে নেপালের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় সিঙ্গাপুর।
গত বছরের ডিসেম্বরে এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি-ফাইনালের দুই লেগের দুটিতেই ভিয়েতনামের কাছে হারে সিঙ্গাপুর। প্রথম লেগে তারা হেরেছিলো ২-০ গোলে। ফিরতি লেগে ৩-১ গোলে হারে সিঙ্গাপুর।
আরও পড়ুন: ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে উজবেকিস্তান ও জর্ডান
অবশেষে গত বৃহস্পতিবার মালদ্বীপকে হারিয়ে জয়ের দেখা পেলো সিঙ্গাপুর। বাংলাদেশ ম্যাচের আগে এই জয় নিঃসন্দেহে তাদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে। অন্যদিকে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরাও নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন। ৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পেয়েছে তারা।
সিঙ্গাপুরের জয়ের ধারায় ফেরার নায়ক অবশ্য ইখসান ফান্দি। চোটের কারণে মাঠের বাইরেও ছিলেন বেশ কয়েক দিন। চোট থেকে ফিরেই দলকে জয়ে ফেরালেন তিনি। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় দলে ফিরে আবার গোল করতে পারা দারুণ অনুভূতি। সবচেয়ে বড় কথা, আমি দলকে জেতাতে পেরেছি।’
ইখসানের পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি সিঙ্গাপুরের জাপানি কোচ সুতোমু ওগুরা। ‘সে শুধু ৬০ মিনিট খেলেছে, কিন্তু দুই ধরনের পরিস্থিতি থেকে গোল করেছে- ওপেন প্লে ও সেট পিস। বাংলাদেশের বিপক্ষেও যদি আমরা ওকে ভালো বল সরবরাহ করতে পারি, গোল আসবেই।’
আরও পড়ুন: ৯ গোলের পাগলাটে ম্যাচে ফ্রান্সকে হারিয়ে ফাইনালে স্পেন
কিন্তু রক্ষণে সেই পুরোনো সমস্যা। দলের নড়বড়ে রক্ষণ নিয়ে অবশ্য বেশ সতর্ক ওগুরা। ‘৬০ মিনিট পেরোতেই খেলার রং বদলে যায়। বলের নিয়ন্ত্রণ হারাই, ছন্দ হারিয়ে ফেলে দল, আর ঠিক তখনই স্পষ্ট হয়ে ওঠে প্রতিপক্ষের কাউন্টার অ্যাটাক আসছে। মনে হচ্ছিলো, যেকোনো সময় স্কোরলাইন ৩-৩ হয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়েও অবশ্য দলকে সতর্ক করলেন ওগুরা। ‘যদি আমরা এমন পারফরম্যান্স চালিয়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশ ম্যাচে আমাদের কোনো সুযোগ নেই। এই দু-তিন দিনের মধ্যেই নিজেদের ঝালিয়ে নিতে হবে। উন্নতির বিকল্প নেই।’
]]>