গত এক মাসে এলাকাটিতে খুন হয়েছে অন্তত সাতটি। সবশেষ ১০ জুন পল্লবীর মাদক ব্যবসায়ী রাকিবুল হাসান সানি ওরফে পেপার সানির হত্যাকাণ্ড ঘিরে তৈরি হয়েছে আলোড়ন।
সানি হত্যার নেপথ্যের কারণ খুঁজতে গিয়ে সময় সংবাদ জানতে পেরেছে, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সানিকে হত্যা করে ল্যাংড়া রুবেল। সানি হত্যায় রুবেল ছাড়াও বাপ্পাসহ বেশ কয়েকজনের নাম এসেছে।
আধিপত্য বিস্তারে মিল্লাত ক্যাম্পসহ আশপাশের এলাকায় প্রায়ই সংঘর্ষে জড়াচ্ছে মাদক কারবারে জড়িত একাধিক গ্রুপ। এসব সংঘর্ষে ঝরছে প্রাণ। মাদক সেবন ও ব্যবসার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই দেয়া হয় প্রাণনাশের হুমকি।
এডিসি ক্যাম্প, কেটিসি ক্যাম্প, রহমদ ক্যাম্প, মাদ্রাসা ক্যাম্প, মুসলিম ক্যাম্প, কনসাল ক্যাম্প, থার্টিনাস ক্যাম্প, কালাপানি বস্তি, কুর্মিটোলা ক্যাম্প, মুড়াপাড়া ক্যাম্প, এমসিসি ক্যাম্প, মিল্লাত ক্যাম্প, শাহপরান ক্যাম্প। মিরপুর ১০-১২ নম্বরের এই ১৩টি এলাকা মাদকের হটস্পট হিসেবে পরিচিত। অন্ধকার নামলে বদলে যায় এখানকার চিত্র। সড়কের দুপাশে এবং গলির মাথায় বিক্রেতারদের হাকডাকে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
আরও পড়ুন: পল্লবীতে চিহ্নিত সন্ত্রাসী পেপার সানির হ্যান্ডকাপ পরা মরদেহ উদ্ধার
ক্রেতা সেজে সময় সংবাদের গন্তব্য মিল্লাত ক্যাম্পে। চায়ের দোকানে দাঁড়াতেই একজন এসে জানতে চান ইয়াবা লাগবে কি না!
কেবল মিল্লাত ক্যাম্পই নয়, মিরপুর ১০, ১১ ও ১২ নম্বরের মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ এখন ল্যাংড়া রুবেলের হাতে। তালিকায় আরও আছে বাপ্পা, কাছরা সোহেল, ওয়াহিদসহ কয়েকজন। এদের বেশিরভাগই সানি হত্যায় জড়িত। জড়িতদের ধরতে এবং মাদকের বিস্তার ঠেকাতে ব্লকরেইড করছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডিসি মোহাম্মদ মাকছেদুর রহমান বলেন, ‘গ্রুপিংয়ের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মাদক যাতে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, এজন্য আমরা নিয়মিত ব্লকরেড করছি। এর ফলে অনেক অপরাধ কমে এসেছে।’
অভিযানে ধরা পড়লেও জামিনে বেরিয়ে আবারও একই কাজে জড়িয়ে পড়ে মাদক কারবারিরা। তাই আইনের কঠোর প্রয়োগ চান এলাকাবাসী।
]]>