হামজা-সমিতরা বদলে দিয়েছে দেশের ফুটবলের চিত্র। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইউরোপিয়ান অঞ্চলের এই ফুটবলারদের অন্তর্ভুক্তিতেই প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে ঝিমিয়ে পড়া ফুটবল পাড়া। মাঠমুখী হচ্ছেন দর্শকরাও। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারের পরও ফুটবলারদের ওপর আস্থা হারাচ্ছেন না তারা।
জাতীয় দলে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলারদের নিয়ে আসার সুফল পেতে শুরু করেছে দেশের ফুটবল। এবার একই পথে বয়সভিত্তিক দল নিয়েও পরিকল্পনা সাজাচ্ছে বাফুফে।
সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-২৩ কে মাথায় রেখে আমি তিন-চার জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের বাবা-মা থেকে আমরা ইতোমধ্যে সম্মতি পেয়েছি। তারা যদি আসেন, তাদের পারফরম্যান্স যদি ভালো হয় এবং কোচ যদি তাদের কাউকে জাতীয় দলে নেন সেটা তার ব্যাপার। কিন্তু জাতীয় দলকে মাথায় রেখে এই মুহূর্তে আমি কারও সঙ্গে কথা বলছি না।’
আরও পড়ুন: হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে ফেরার আশায় বিশ্বনাথ
এদিকে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচে মধ্যমাঠে পারদর্শিতা দেখিয়েছে লাল সবুজ বাহিনী। তবে এ ম্যাচে ভালো মানের স্ট্রাইকারের অভাব টের পেয়েছে বাংলাদেশ। তাই এবার নতুন করে স্ট্রাইকারের খোঁজে বাফুফে।
ফাহাদ করিম বলেন, ‘এখন আমাদের মিডফিল্ড খুব ভালো। আমাদের উইঙ্গাররাও খুব ভালো করেছে। এখন যুব দল থেকে আমরা সেরা স্ট্রাইকারের খোঁজ করছি। বাইরে থেকে যারা আসার চিন্তা-ভাবনা করছে, সেখান যদি আমরা কাউকে সম্ভাবনাময়ী দেখি, তাকেও ডাকব।’
বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর ম্যাচের ব্যবস্থাপনায় সুনাম কুড়িয়েছে বাফুফে। তবে একটি উগ্রবাদী সমর্থক গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডে সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তাই অক্টোবরের ম্যাচে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আরও সতর্ক থাকবে ফেডারেশন।
এ বিষয়ে ফাহাদ করিম বলেন, ‘যারাই বিশৃঙ্খলা করবে অবশ্যই আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব, কোনো সন্দেহ নেই। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে যা করার করব। আমি এতটুকু বলতে পারি, অক্টোবর মাসে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটবে সেটা আমাদের কাম্য নয়।’
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারের পর এশিয়ান কাপের আশা কতটুকু বাংলাদেশের?
এদিকে বসুন্ধরা কিংসের বিদেশি ফুটবলার রবসন রবিনিয়ো এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার জায়ান হাকিমের লাল সবুজ জার্সি গায়ে জড়ানোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাফুফে সহ-সভাপতি।
]]>