হাঁসের বাচ্চায় দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন কিশোরগঞ্জের চাষিরা

৩ সপ্তাহ আগে
কিশোরগঞ্জে তুষ পদ্ধতিতে হাঁসের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন হাজারো মানুষ। জেলার দামিহা গ্রামে গড়ে উঠেছে শতাধিক হ্যাচারি। প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকার হাঁসের বাচ্চা।

কিশোরগঞ্জে হাওর অধ্যুষিত তাড়াইল উপজেলার দামিহা গ্রামে গড়ে উঠেছে শতাধিক হ্যাচারি। হাওরের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাঁসের ডিম সংগ্রহ করে এখানেই তুষ পদ্ধতিতে হারিকেনে আলোয় ফুটানো হচ্ছে বাচ্চা। সময় লাগছে ২২ থেকে ২৩ দিন। প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লাখ বাচ্চা ফুটছে এসব হ্যাচারিতে।

 

হ্যাচারি মালিক ও শ্রমিকরা বলেন, ডিমগুলো কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে ঝুড়িতে রাখা হয়। এরপর ঝুড়ির মধ্যে হারিকেন রেখে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে বাচ্চা ফোটানো হয়। এভাবে প্রতিমাসে এক থেকে দেড় লাখ বাচ্চা ফোটানো হচ্ছে।

 

পাঁচ শতাধিক খামারিসহ অন্তত ৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান এখানে। হ্যাচারিকে ঘিরে দামিহা বাজারে গড়ে উঠেছে ২০টি আড়ত। ব্যবসা বাড়াতে সহজ শর্তে ব্যাংকঋণ চেয়েছেন আড়ত মালিকরা।

 

আরও পড়ুন: বেকায়দায় সাতক্ষীরার পোল্ট্রি শিল্প / যন্ত্রপাতি চলে গেছে অন্যত্র, পড়ে আছে কোটি টাকার হ্যাচারি ভবন

 

কিশোরগঞ্জ উপজেলার দামিহা বাজারের আড়ত মালিকরা বলেন, এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো আর্থিক সহযোগিতা মেলেনি। সরকার সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করলে, ব্যবসার পরিধি বাড়ানো সম্ভব।

 

সম্ভাবনাময় এই ব্যবসার প্রসারে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র পন্ডিত বলেন, ভ্যাক্সিনেশন থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করা হচ্ছে। এছাড়া ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার বিষয়ে নানারকম পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

 

উল্লেখ্য, শীতের চার মাস বাদে বছরের বাকি আট মাসে প্রায় ৬ কোটি বাচ্চা ফুটানো হয়, যার আর্থিক মূল্য কমবেশি ২'শ কোটি টাকা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন