সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিদেশে উন্নত চিকিৎসা, ভ্রমণ ও ব্যবসায়িক কাজের জন্য বগুড়া পাসপোর্ট অফিসে আসছেন গ্রাহকরা। সময় সংবাদের ক্যামেরা দেখে সটকে পড়েন দালালরা। এ সময় এক দালালের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে দৌড়ে গা ঢাকা দেন তিনি।
পদে পদে হয়রানি আর দালালের দৌরাত্ম্যে নাজেহাল নওগাঁ পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের। একই অবস্থা রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসসহ অন্যান্য জেলা অফিসগুলোর।
গ্রাহকরা জানান, সরকার নির্ধারিত ফি ৫ হাজার ৭৫০ টাকা। তবে দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করতে গেলে কাগজপত্রে নানা ভুলত্রুটি ধরে মাসের পর মাস ঘোরান কর্মকর্তারা। কখনও সার্ভার জটিলতা, কখনও নানা নিয়মকানুনের বেড়াজালে ফেলে পাসপোর্ট আটকে রাখেন তারা। কিন্তু দালালকে অতিরিক্ত দু-তিন হাজার টাকা দিলে ভোগান্তি ছাড়াই মেলে পাসপোর্ট।
এদিকে জেলার পাসপোর্ট অফিসগুলোর বাইরে গড়ে উঠেছে স্থায়ী দোকান। সেই দোকানগুলোতে সেবা দেয়ার নামে অনলাইনে ফরম পূরণ করে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। অভিযোগ আছে এদের বেশিরভাগই দালাল।
আরও পড়ুন: পুলিশ ভেরিফিকেশন না থাকায় সহজে ই-পাসপোর্ট পাবেন যেভাবে
তবে দালালের দৌরাত্ম্য বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের।
বগুড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক মানিক চন্দ্র দেব বলেন, আবেদনকারীরা যেন হয়রানির শিকার না হয়, সে জন্য আমরা আবেদনকারীদের নিয়মিত সচেতন করি যে আপনারা নিজেরা পাসপোর্টের অ্যাপ্লিকেশন পূরণ করে নিজেরাই জমা দেন। এতে আপনাদের ভোগান্তি কম হবে।
নওগাঁ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, এই অফিসের কোনো স্টাফের ব্যবহারে কোনো আবেদনকারী অসন্তুষ্ট হবেন না। যদি কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়, তবে সেই স্টাফের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আট মাস আগেও বিভাগের প্রতিটি পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন গড়ে দুইশ থেকে আড়াইশ জন গ্রাহক পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলেও এখন তা নেমে এসেছে অর্ধেকের নিচে।