হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

১ সপ্তাহে আগে
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ছাবু মিয়া নামে একজনকে হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে এ রায় দেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক একেএম কামাল উদ্দিন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ওই উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আব্দুল মৌলার ছেলে আবুল, বার চান্দুরা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এমরান, মারাজ মিয়ার ছেলে সোলেমান ও মৃত হরমুজ আলীর ছেলে জাহেদ।

 

রায়ে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

 

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর পেশকার তপন শীল এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

তিনি জানান, মামলায় মোট পাঁচজন আসামি ছিলেন। এর মধ্যে চারজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়েছে। মামলার অপর আসামি মারাজ মিয়া মামলা চলাকালে মৃত্যুবরণ করায় তাকে রায়ে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। মামলায় মোট ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক রায় দিয়েছেন।

 

আরও পড়ুন: সাত বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় গৃহশিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি একেএম বজলুল আমীন বলেন, আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। আমি মনে করি এ রায় একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। এর মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

 

মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই উপজেলার বার চান্দুরা গ্রামের ছাবু মিয়ার প্রথম স্ত্রী রাশেদা বেগমকে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে ২০০৭ সালের মাঝামাঝির দিকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন প্রতিবেশী এমরান মিয়া। এরপর ছাবু মিয়াও আরেকটি বিয়ে করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্যতা চলছিল। এর জেরে ২০০৯ সালের ১৩ এপ্রিল বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছাবু মিয়াকে ডেকে নিয়ে যান এমরান, সোলেমান ও আবুল। এরপর থেকে তার আর সন্ধান পাওয়া যায়নি। 
পরদিন ১৪ এপ্রিল গ্রামের হাওরের ছাবু মিয়ার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

 

আরও পড়ুন: নারীকে হত্যা করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টা, ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

 

এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামি একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই হাফিজ মিয়া। তদন্ত শেষে ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে বিচারক ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ১৬ বছর পর এই রায় দেন।


মামলার বাদী নিহত ছাবু মিয়ার ভাই হাফিজ মিয়া জানান, যে রায় হয়ছে এতে আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। তবে এখন দ্রুত আসামিদের সাজা কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলেই আমরা প্রকৃত শান্তি পাব।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন