শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানার ওসি কাজী মোহাম্মদ রফিক আহমেদ গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানার একটি মামলায় এদিন ভোরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ আলমি শুরার মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাদপন্থি সমর্থকেরা টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের ওপর হামলা ও হত্যায় সরাসরি জড়িত।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় সাদপন্থি নেতা মুয়াজ গ্রেফতার
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি বলেন, ‘গ্রেফতারের সময় ডবলমুরিং থানার টিমের সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন। আসামিকে আজকেই গাজীপুরের টঙ্গী থানায় হস্তান্তর করা হবে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাদপন্থি ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকশ’ জনকে আসামি করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় হত্যা মামলা করেন আলমি শুরার সদস্য এস এম আলম হোসেন।
মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকশ আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন: সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, তার ছেলে ওসামা ইসলাম আনু, আবদুল্লাহ মনসুর, কাজী এরতেজা হাসান, মোয়াজ বিন নূর, জিয়া বিন কাশেম, আজিমুদ্দিন, আনোয়ার আবদুল্লাহ, শফিউল্লাহ প্রমুখ। আসামিরা সবাই সাদ অনুসারীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে তিন দিনের বিশ্ব ইজতেমা। এ উপলক্ষে মাঠ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইজতেমা মাঠে অবস্থান করছিলেন তাবলিগের আলমি শুরার সদস্যরা। এর মধ্যেই আসামিরা বর্তমান সরকারকে বিব্রত করার উদ্দেশ্যে অনুমতি ছাড়া ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইজতেমা মাঠে ৫ দিনের জোড় করতে চান। এ নিয়ে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন উসকানি ছড়াচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নিয়ে যা জানাল আলমি শুরা
মামলার প্রধান আসামি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম তার স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে সারা দেশের সাদ অনুসারীদের ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠেই জোড় পালনের ঘোষণা দেন। এ উপলক্ষে হাজার হাজার সাদ অনুসারী মুসল্লি গত মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে ইজতেমা মাঠের চারপাশে জড়ো হন। ওয়াসিফুল ইসলামের হুকুমে সেদিন (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে হাজার হাজার সাদ অনুসারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইজতেমা মাঠে ঘুমন্ত সাধারণ মুসল্লিদের (জুবায়েরপন্থি) ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এতে ৪ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন।