সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায় ২০১৩ সালে। নানা জটিলতায় ২০২১ সালে প্রকল্প সংশোধন করলে ব্যয় ৯৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ২৫৯ কোটি ২১ লাখ টাকায়। ৫ দফায় সময় বেড়ে ৬০ ফুট চওড়া সড়কটির নির্মাণ কাজ চলতি বছরের জুনে সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও সেই সময় ফের দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি সড়কটির একটি নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত কাজ শেষ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়রা আশা করেছিল দ্রুতই শেষ হবে বাকি কাজও। তবে হঠাৎ কাজ বন্ধ করে দিয়ে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ফের খোঁড়া শুরু করে খুলনা ওয়াসা। সুয়ারেজ লাইন বসানোর এই কাজ চলমান থাকায় আবারও সেই একই ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসীসহ যানবাহন চালকরা।
আরও পড়ুন: চরফ্যাশনের আদালতে বিচারক না থাকায় বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি
স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তা এভাবেই আছে। অল্প অল্প করে কাজ করে তারপর আবার ফেলে রাখে অনেকদিনের জন্য। রাস্তার দুপাশের দোকানগুলোতেও বিক্রি কমে গেছে। এর আগে সড়কের বিভিন্ন স্থানে এক ড্রেন ভেঙে অন্তত তিন-চারবারও নির্মাণ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সব মিলিয়ে বছর পর বছর কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
এমন গোঁজামিলের পিছনে দফতরগুলোর মানহীন পরিকল্পনা এবং সমন্বয়হীনতার কথা জানিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলে জানান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীন পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক মো. আশিকুর রহমান।
আরও পড়ুন: সেতুর অভাবে ৪ যুগ ধরে ভোগান্তিতে সৈয়দপুরের লাখো মানুষ
তবে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে খুলনা ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খান সেলিম আহম্মদ বলেন, তিন কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ১৭০০ মিটার জায়গার কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে। এতে সড়কের খুব বেশি ক্ষতি হবে না বলে জানান তিনি।