গত সপ্তাহে স্লোভাকিয়ার মধ্যাঞ্চলে ৫৯ বছর বয়সি এক ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া যায়। তার দেহ ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ছিল। এটাকে ভাল্লুকের আক্রমণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এরপর নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে দেশের মোট ভাল্লুকের সংখ্যা অর্ধেক নামিয়ে আনার ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
এক হিসেবে, স্লোভাকিয়ায় ১ হাজারের বেশি ভাল্লুক রয়েছে। পরিবেশমন্ত্রী তোমাশ তারাবা বলেন, মানুষের ওপর ভাল্লুকের আক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং গত বছর ১ হাজার ৯০০টি হামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: আইসিসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা হাঙ্গেরির
প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো বলেন, ‘আমরা এমন দেশে থাকতে পারি না যেখানে মানুষ বনে যেতে ভয় পায়।’ গত বুধবার (২ এপ্রিল) এই পরিকল্পনা অনুমোদন দেয় সরকার।
এরই মধ্যে দেশটির ৭৯টি জেলার মধ্যে ৫৫টি জেলায় বিশেষ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে, যার আওতায় ভালুক শিকারকে বৈধতা দেয়া হয়েছে।
তবে এই পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা। তারা বলছেন, এটি বন্যপ্রাণী বিষয়ক আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধের লঙ্ঘন ও অবৈধ। হত্যার বদলে স্লোভাক সরকারকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: পরমাণু চুক্তি না হলে ইরানের সাথে যুদ্ধ প্রায় অনিবার্য: ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০২৪ সালে স্লোভাকিয়ায় ১৪৪টি ভাল্লুক হত্যার অনুমতি দেয়া হয়। গত বছর রোমানিয়াতেও একই ধরণের পদক্ষেপ অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।
তথ্যসূত্র: সিএনএন