স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স বিতরণে ধীরগতি, বিদেশগামীদের ভিসা ঝুঁকিতে!

৩ দিন আগে
নির্ধারিত সময়ে লাইসেন্স সরবরাহ না করায় দিন দিন বেড়েই চলেছে গ্রাহক ভোগান্তি। লাইসেন্স না পাওয়ায় ভিসা বাতিলের শঙ্কায় দিন গুনছেন অনেক বিদেশগামী গ্রাহক। এদিকে, ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স লিমিটেডের (এমএসপিএল) সঙ্গে চুক্তি শেষ হবার পর নতুন প্রতিষ্ঠান খুঁজছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বর্তমানে দরপত্রে অংশ নেয়া ১০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগ্য প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ে কাজ চলছে; অগ্রাধিকার দেয়া হবে দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে। তবে নতুন লাইসেন্স ছাপানোর দিনক্ষণ না জানালেও ব্যাকআপ কার্ডে সংকট সামাল দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান।

দুই দফায় টেন্ডারের পর ২০২০ সালের জুলাইয়ে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহের দায়িত্ব পায় মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স লিমিটেড। ১২০ কোটি টাকার চুক্তিতে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে ৪০ লাখ কার্ড সরবরাহের কথা ছিল প্রতিষ্ঠানটির।

 

বিআরটিএ সূত্র বলছে, নানা কারণ দেখিয়ে মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স চুক্তির বাইরে আরও দুই বছর বাড়তি সময় চাইলে রাজি হয়নি বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। গত ৫ বছরে ৩৩ লাখ আবেদন জমা পড়লেও লাইসেন্স পেয়েছেন ২৬ লাখ গ্রাহক। অর্থাৎ চুক্তির মেয়াদ শেষে এখনো আটকে আছে ৭ লাখ লাইসেন্স। লাইসেন্স না পাওয়ায় ভিসা বাতিলের শঙ্কায় রয়েছেন বিদেশে ড্রাইভিং ভিসায় আবেদনকারী ও চাকরিরতদের অনেকে।

 

সেবাগ্রহীতারা জানিয়েছেন, ই-কপি পাওয়া যাচ্ছে এবং সেটি দিয়েই আপাতত চলাচল করতে হচ্ছে। তবে বিদেশে ড্রাইভিং ভিসায় যেতে হলে স্মার্টকার্ড অপরিহার্য। সেটি না পাওয়ায় ভিসা প্রক্রিয়া আটকে যাচ্ছে। এতে বাড়ছে ভোগান্তি ও অনিশ্চয়তা।

 

আরও পড়ুন: সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে লক্কর-ঝক্কর গণপরিবহন, অভিযানেও সুফল মিলছে না কেন?

 

সড়কে ট্রাফিক পুলিশের জেরা ও আইনি জটিলতা এড়াতে সাময়িক সময়ের জন্য ই-লাইসেন্সের প্রিন্ট কপি সঙ্গে রাখার পরামর্শ বিআরটিএর। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এমএসপিএল নামের ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি মাদ্রাজ থেকে আমাদের সার্ভার কন্ট্রোল করত। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি সার্ভার ডাউন করে দেয়ার পর আমরা সোর্স কোডগুলো রিকভার করেছি। এখন আমরা একটা ভালো অবস্থানে এসেছি। বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে অনুমতি দেয়া হয়নি।

 

অন্যদিকে বিদেশগামী, অতি জরুরি বা বিশেষ চাহিদা বিবেচনায় প্রমাণ যাচাই সাপেক্ষে অনেককেই দেয়া হচ্ছে স্মার্ট কার্ড। ব্যাকআপ হিসেবে ১৫ লাখ কার্ড হাতে রাখা হয়েছে। বিআরটিএ চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই নিজেদের সক্ষমতায় স্মার্টকার্ড প্রিন্ট করতে পারব। কিছু কার্ড হাতে রয়েছে। এর মধ্যে যেসব আবেদন অতি জরুরি, বিশেষ করে বিদেশগামী যাত্রীদের জন্য, সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরবরাহ করা হবে।’

 

এর আগে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এসে ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ডের পরিবর্তে স্ট্যান্ডার্ড পলিভিনাইল ক্লোরাইড কার্ড চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ভুক্তভোগীরা বলছেন, বৈধ স্মার্টকার্ড ছাড়া সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশগামীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাধাগ্রস্ত হয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন