সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান, নিটোরের আর.জে গাস্ট মিলনায়তনে বৈষম্যহীন প্রথম বিজয় উৎযাপন ও ক্রীড়া সপ্তাহ ২০২৪-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. রফিক বলেন, এখনও আমরা দেখতে পাই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে খুশি করার জন্য নানান ধরনের আদেশ জারি হচ্ছে। অথচ ভোল পাল্টানো এই গোষ্ঠীর অতি নিকট অতীত পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ছাত্র রাজনীতি ও পেশাজীবী রাজনীতিতে তারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর ছিল। তারা সেসময়ে পূর্ণ সুযোগ সুবিধা নিয়েছে এখনও ৫ আগস্টের পর মুখোশ পরিবর্তন করে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে প্রভাব রেখে ক্ষমতার সর্বোচ্চ স্বাদ তারা নিচ্ছে।
তিনি বলেন, এ কাজে তাদের সহায়তা করছে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মা অসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আপনারা যদি খেয়াল করে দেখেন আন্তঃক্যাডার একটা দ্বন্দ্ব কিন্তু তৈরি হয়েছে। জনতার মঞ্চ তৈরি করে যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে ৯৬ তে ক্ষমতায় এনেছিলো তারা কিন্তু নতুনরূপে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এদের চিহ্নিত করে অপসারণ করতে হবে। কারা এদের মদদ দিচ্ছে সেটা বের করতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করলে ৫ আগস্টের চেয়েও বড় কিছু ঘটতে পারে: মিল্লাত
তিনি আরও বলেন, ৭১ এবং ২৪ আমাদের গর্বের জায়গা। এই দুই বিষয়ে কোনো আপোষ নেই। অনেকেই ২৪ কে সামনে এনে ৭১ কে পাশ কাটিয়ে যেতে চায় তাদের অতীত সম্পর্কে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। যতদিন না একটি গণতান্ত্রিক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে ততদিন এমন ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকবে। তাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া আসলে এই সংকট উত্তরণের কোনো সুযোগ নেই।
ড্যাব নিটোর শাখার সভাপতি ডা. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ মুহাম্মদ আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. আব্দুস সালাম, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. মো. আবুল কেনান প্রমুখ।