স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনের মিল বাড়ানোর ১০টি উপায়:
- নিয়মিত খোলামেলা কথা বলুন। একে অপরের মতামত শোনা ও বুঝার চেষ্টা করুন। অভিমান জমিয়ে না রেখে সমস্যাগুলো নিয়ে শান্তভাবে কথা বলুন এবং সমাধানে আসুন।
- প্রতিদিন অন্তত কিছু সময় একসঙ্গে কাটান। একসাথে খাওয়া, হাঁটা, এমনকি একসাথে চুপচাপ বসে থাকাও মানসিকভাবে কাছাকাছি নিয়ে আসে।
- ছোট বিষয়েও কৃতজ্ঞতা জানান। ‘ধন্যবাদ’, ‘তুমি আছো বলে ভালো লাগছে’— এসব কথার মাধ্যমে ভালোবাসা প্রকাশ করুন।
- সমালোচনা না করে প্রশংসা করুন। বারবার অভিযোগ না তুলে, সঙ্গীর ভালো দিকগুলো তুলে ধরুন। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে, সঙ্গে সম্পর্কও মজবুত হবে।
- রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন। অভিমান পুষে রাখবেন না। সমস্যা হলে ঠাণ্ডা মাথায় সময় নিয়ে কথা বলুন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে চলুন।
- বিশ্বাস গড়ে তুলুন। সন্দেহে ওপর সম্পর্ক টিকে থাকতে পারে না। ফোন চেক করা বা সন্দেহ করার বদলে বিশ্বাস গড়ে তুলুন।
- একত্রে সিদ্ধান্ত নিন। সংসার, সন্তান, অর্থ— সবকিছুতে একে অপরের মতামত নিন। এতে পারস্পরিক সম্মান বাড়ে।
- ছুটি বা ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন। মাসে অন্তত একদিন একসাথে কোথাও ঘুরতে বের হোন। ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হয়ে সময় কাটালে সম্পর্ক মজবুত হয়।
- সম্ভব হলে একসঙ্গে প্রার্থনা বা ধ্যান করুন। এতে মানসিক প্রশান্তি মেলে; যা একে অপরকে ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে।
- সম্পর্কে রোমান্স বজায় রাখুন। একে অপরকে চমকে দেওয়া, উপহার দেওয়া, ভালোবাসার ছোট ছোট বার্তা দেওয়া— এই সবই সম্পর্ককে সতেজ রাখে।
আরও পড়ুন: ঘর-অফিসে নিজের গুরুত্ব বাড়ানোর ৩ উপায়
যা করবেন না:
- পরিবারের অন্যদের সঙ্গে তুলনা করবেন না।
- সারাক্ষণ একে অপরের দোষ খুঁজবেন না।
- বারবার অতীতকে টেনে আনবেন না।
- অনেক সময় পাশাপাশি অবস্থান করেও দুজন মানুষ মানসিকভাবে দূরে থাকে। সেটা যেনো না হয়।
***মনে রাখা জরুরি— ভালোবাসা টিকিয়ে রাখার মূল কৌশল হলো— শ্রদ্ধা, সময় এবং সহানুভূতি।