গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে আড়াই মাসে ১৭৬০ ফিলিস্তিনি নিহত

৯ ঘন্টা আগে
জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস জানিয়েছে, মে মাসের শেষের দিক থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে কমপক্ষে ১ হাজার ৭৬০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস এ তথ্য জানিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা প্রতিবেদনে বলা হয়।

 

এতে বলা হয়, মে মাসে গাজায় বিতর্কিত সংস্থা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ শুরু করার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে ফিলিস্তিনিদের ওপর নিয়মিত গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে।

 

জাতিসংঘের সহায়তা সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২৭ মে থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত ত্রাণ সংগ্রহের সময় অন্তত ১ হাজার ৭৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলের বসতি স্থাপনের নতুন পরিকল্পনা যুদ্ধাপরাধের শামিল: জাতিসংঘ

 

এর মধ্যে ৯৯৪ জন জিএইচএফের সাইটের আশেপাশে এবং ৭৬৬ জন বিভিন্ন ত্রাণ সরবরাহ রুটে নিহত হয়েছে। এই হত্যার অধিকাংশ ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর হাতে ঘটেছে।

 

গত ১ আগস্ট জাতিসংঘের প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৭৩ জন বলা হয়েছিল। তবে এ সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে।

 

এদিকে গাজায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে ক্ষুধাজনিত কারণে মৃত্যু। স্থানীয় সময় শুক্রবার খাদ্য সংকটে মারা গেছে আরও এক শিশু। এ নিয়ে ক্ষুধায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৪০ জনে, যার মধ্যে ১০৭ জন শিশু।

 

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, শুক্রবার ভোর থেকে ইসরাইলি হামলায় প্রায় অর্ধশত ফিলিস্তিনি নিহত হয়। যার মধ্যে বেশ কয়েকজন ছিলেন ত্রাণ সংগ্রহকারী। ফিলিস্তিনের জাতিসংঘ প্রতিনিধি ইব্রাহিম খরাইশি অভিযোগ করেছেন, ইসরাইল বন্দিদের ওপর নির্যাতন, অনাহার ও দীর্ঘদিনের একাকী আটক অব্যাহত রেখেছে। এ ঘটনাকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ।

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলের নতুন করে বসতি স্থাপন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সম্ভাবনাকে ‘কবর’ দিতে পারে

 

অন্যদিকে দখলকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা ও জেরিকো জেলায় ফিলিস্তিনিদের ওপর অন্তত দুই দফা বসতি স্থাপনকারীদের হামলার খবর দিয়েছে ওয়াফা নিউজ। এসব হামলায় ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে পরিবারগুলো। ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ধরনের হামলার জন্য ইসরাইলি সরকারের মন্ত্রীদের উসকানিমূলক বক্তব্যকে দায়ী করেছে।

 

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজা সিটিতে শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার ২১.৫ শতাংশে পৌঁছেছে। প্রচণ্ড গরমে পানির সংকট ও ত্রাণ বণ্টন কেন্দ্রের কাছে বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্য করে হামলা অব্যাহত রয়েছে। এ পরিস্থিতিকে জাতিসংঘ ‘ডেথ ট্র্যাপ’ বা মৃত্যুকূপ আখ্যা দিয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন