মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সুনামগঞ্জ ও উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। এরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে কৃষকরা যেন দ্রুত ধান কাটতে পারেন, সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এরকম বৃষ্টিপাতে ফসলরক্ষা বাঁধের কিছু না হলেও হাওড়ে জলাবদ্ধতা তৈরি হলে পানি নিষ্কাশনে অসুবিধা হবে। তাই ৮০ থেকে ৯০ ভাগ পেকে যাওয়া ধান দ্রুততম সময়ের মধ্যে কেটে ফেলতে আমরা আহ্বান করছি।’
তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের অধীনে কর্মরত সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের ধান কাটা মৌসুমে কোনো ছুটি দেওয়া হবে না। ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করতে অনুরোধ করেছি। ছাত্ররা তালিকা দিয়েছেন কোন উপজেলায় কারা সমন্বয় করবেন। কোনো কৃষক শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটতে না পারলে আমাদের জানান, আমরা ইউনিয়ন ভিত্তিক ছাত্র প্রতিনিধিদের দিয়ে ধান কাটার ব্যবস্থা করবো। এছাড়াও ধান কাটায় অসুবিধা হলে প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করবে।’
আরও পড়ুন: হাওড়ের বোরো চাষিদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ
সংবাদ সম্মেলনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার বলেন, ‘১৮ তারিখ থেকে আগামী ৭ দিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এতে নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে, হাওরের নিচু এলাকা নিমজ্জিত হতে পারে। এই আশঙ্কা থেকে কৃষকের পাকা ধান কেটে ফেলতে বলা হয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সকলের ছুটি বাতিল করেছেন।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোস্তফা ইকবাল আজাদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে ১৫০টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন হাওড়ের ধান কাটছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৩ লাখ ৯৬ হাজার মে.টন ধান কৃষকের গোলায় উঠবে, যার বাজার মূল্য ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা। কৃষি বিভাগও প্রজ্ঞাপন জারি করে সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পালসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।