মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কান্দাশেরী এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। নিহত একাব্বর মিয়া (২৮) ওই এলাকার মৃত হায়দার আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত একাব্বরের সাথে তারই সৎভাই ফারুক মিয়ার স্ত্রী মাকসুদা বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। বিষয়টি আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে জানাজানি হলে প্রায়ই দুই ভাইয়ের মাঝে ঝগড়া হতো। মঙ্গলবার সকালেও ওই বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সাথে আবার ঝগড়া হয় ফারুক মিয়ার। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ায় ফারুকের বড়ভাই একাব্বর মিয়াও জড়িয়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফারুক তার বড় ভাই একাব্বরকে রামদা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আহত করে। গুরুতর অবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে একাব্বরের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: প্রবাসীর স্ত্রীকে পিটিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন ইউপি সদস্য
এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. প্রমা জানান, একাব্বরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরের বিভিন্নস্থানে গভীর কোপের ক্ষত ছিল। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠাই।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়দুল আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

৩ সপ্তাহ আগে
৫







Bengali (BD) ·
English (US) ·