স্টার্কের ফাইফার আর চল্লিশোর্ধ্ব ডু প্লেসি ঝড়ে কুপোকাত হায়দরাবাদ

৩ সপ্তাহ আগে
মিচেল স্টার্কের গতি আর সুইংয়ের তোপে প্রত্যাশা অনুযায়ী রান পায়নি বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। অজি পেসার ফাইফার তুলে নিয়ে তাদের আটকে দিয়েছেন ১৬৩ রানে। জবাব দিতে নেমে ঝড় তোলেন চল্লিশোর্ধ্ব ফাফ ডু প্লেসি। তাতে ৪ ওভার হাতে রেখেই ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস।

আইপিএলে রোববার (৩০ মার্চ) বল-ব্যাটে  হায়দরাবাদকে পরাস্ত করেছে দিল্লি।

 

এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। কিন্তু তার সেই সিদ্ধান্ত কাজে এলো না। হায়দরাবাদের বিস্ফোরক ব্যাটিং লাইন আপে দুবার ধস নামান স্টার্ক। ৩৫ রান খরচে ৫ উইকেট নিয়ে একাই হায়দরাবাদকে কোণঠাসা করে দেন তিনি। স্টার্ক তোপের মাঝেও হায়দরাবাদ লড়াই করার মতো পুঁজি পায় মূলত অনিকেত বার্মার ইনিংসের সুবাদে। ৬ ছক্কা ও ৫ চারের মার ৪১ বলে ৭৪ রান করেন তিনি। এদিন অভিষেক শর্মা (১), ট্রেভিস হেড (২২), ঈশান কিশন (২), নীতীশ কুমার রেড্ডি (শূন্য) পর পর আউট হয়ে যান। অভিষেক রান আউট হলেও বাকি তিন জনকেই সাজঘরে ফেরান স্টার্ক। অভিষেকের রান আউটের ক্ষেত্রেও তার অবদান ছিল। ৪.১ ওভারে ৩৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় হায়দরাবাদ। অনিকেতের সঙ্গে বিপদে পড়া দলের হাল ধরেন হেনরিখ ক্লাসেন। প্রোটিয়া ব্যাটার করেন ১৯ বলে ৩২। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে তারা তোলেন ৭৭ রান।

 

আরও পড়ুন: হারের পর জরিমানাও গুনতে হল পান্ডিয়াকে

 

মোহিত শর্মার বলে ক্লাসেন আউট হওয়ার পর আবার চাপ তৈরি হয় হায়দরাবাদ ইনিংসে। পর পর ফিরে যান অভিনব মনোহর (৪) এবং কামিন্স (২)। ১২৩ রানে ৭ উইকেট হারানোর পরও অনিকেত ২২ গজের এক দিক আগলে রেখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাকে আউট করেন কুলদীপ যাদব। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামা উইয়ান মুলডার (৯), হার্শাল প্যাটেলরাও (৫) ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারেননি। তাদেরও আউট করলেন স্টার্ক। ১ রান করে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ শামি। স্টার্ক ছাড়া ভালো বল করছেন কুলদীপও। ২২ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন তিনি।

 

১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সহজেই জয় তুলে নেয় দিল্লি। দুই ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক এবং ফাফ ডুপ্লেসি আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেন। ম্যাকগার্ক ৪টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ৩৮ রান করেন। ডুপ্লেসি ৩টি করে চার এবং ছক্কা মারেন। আউট হওয়ার আগে ২৭ বলে ৫০ রান করেন তিনি। ৫ বলে ১৫ রান করে আউট হন লোকেশ রাহুল। তবে দলকে অনায়াসে জয় এনে দিতে সমস্যা হয়নি অভিষেক পোড়েল এবং ট্রিস্টান স্টাবসের। ২টি করে চার ও ছক্কার মারে ১৮ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন পোড়েল। ৩ চারের মারে ১৪ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন স্টাবস।

 

আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ম্যাচেও লজ্জার হার মুম্বাইয়ের

 

হায়দরাবাদের হয়ে সবগুলো উইকেট একাই নেন জিশান আনসারি। ৩ উইকেট নিতে ৪ ওভার বল করে তার খরচ ৪২।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন