স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ছাদ থেকে ফেলে দেন কুদ্দুস!

১ সপ্তাহে আগে
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে আব্দুল কুদ্দুস (৫৫) নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরের দিকে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ছাদ থেকে ফেলে দেন বৃদ্ধ। ফলে শিশুটি গুরুতর আহত হয়। পড়ে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।


প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্রে জানা গেছে, এক বছর ধরে ওই উপজেলায় এসে কৃষি দিনমজুরের কাজ করতেন বৃদ্ধ আব্দুল কুদ্দুস। ওই পাড়ায় একটি নির্মাণাধীন বাড়ির গেটের সামনে শিশুটিকে একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে বাড়ির ভেতরে নিয়ে যান। এ সময় প্রতিবেশী এক নারী শিশুটির মুখ চেপে ধরা দেখতে পেয়ে দৌড়ে গিয়ে আশপাশের লোকজন ডেকে আনেন। লোকজন এসে দরজায় লাথি মারলে ওই বৃদ্ধ শিশুটিকে দোতলার ছাদ থেকে ফেলে দেন। এতে শিশুটি গুরুতর আহত হয়। 

আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় ১২ বছরের শিশু ধর্ষণ

পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে বাড়িটি ঘেরাও করে। অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে, ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে আটক করে। অভিযুক্ত বৃদ্ধ আব্দুল কুদ্দুস কালাই উপজেলার আতাহার বামন গ্রামের জাকিরের ছেলে।


এ ঘটনায় ওই বাড়ির মালিক প্রবাসী কাবিলের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‌‌‘আমি প্রবাসে থাকি। নিজ গ্রামে বসবাসের জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করছি। সেটি আমার স্ত্রী দেখভাল করেন। বাড়িটি এখনও পূর্ণ নির্মাণ করতে পারিনি। আজকের ঘটনা আমার স্ত্রীর কাছ থেকে জানতে পারলাম। আমাদের গ্রামে একজন দিনমজুর কাজ করে ওই লোকটি বাড়ি ফাঁকা পেয়ে ওই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন। অপরাধী যে-ই হোক আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই।’

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তরুণীকে হত্যা, নানা-নানিকে কুপিয়ে জখম

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপেন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে অপরাধীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরে এ বিষয়ে মেয়েটির চাচা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন