সিলেটে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সংগ্রহ ২৪৯ রান। ৮৮ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৭ রান করে আউট হয়েছেন সোহান। লাল সবুজরা এখনো ৭ রানে পিছিয়ে রয়েছে। প্রথম ইনিংসে সব কটি উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান সংগ্রহ করেছিল নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল।
৮ উইকেটের বিনিময়ে ২২৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল কিউইরা। ৬৮ রানে মিচেল হ্যাই আর ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক। দিনের দশম ওভারে ক্লার্ককে ফিরিয়ে ৪৪ রানের জুটি ভাঙেন খালেদ আহমেদ। তুলে নেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের আরেকটি ফাইফার। ৫১ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ক্লার্ক।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান সফরে সরকারের সবুজ সংকেত, আরও যা বলছে বিসিবি
এক ওভার পর আক্রমণে এসে মিচেলকে বোল্ড করেন খালেদ। ১৩৪ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৮১ রানে থামে এ ব্যাটারের ইনিংস। তাতে ২৫৬ রানে ইতি ঘটে কিউইদের প্রথম ইনিংসের। ৫৯ রান খরচায় টাইগারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট তুলে নেন খালেদ। ৩২ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন আরেক পেসার এনামুল হক।
ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ছন্দহীন ছিল লাল সবুজরা। দলের খাতায় ৩৫ রান যোগ হতে বিদায় নেন এনামুল হক বিজয়। ৩৭ বলে ২৪ রানে থামে তার ইনিংস। এরপর ১২ রান করে জাকির হাসান আর ১৮ রান করে বিদায় নেন মাহমুদুল হাসান জয়। দলীয় ৮১ রানে অমিত হাসান ব্যক্তিগত ২৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হলে চাপে পড়ে লাল সবুজরা। সেখান থেকে মাহিদুল ইসলামকে অঙ্কনকে নিয়ে দলকে লড়াইয়ে ফেরান অধিনায়ক সোহান। গড়ে তোলেন ১৩২ রানের জুটি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সিরিজের জন্য আরব আমিরাতের দল ঘোষণা
মারকুটে ব্যাটিংয়ে সোহান সেঞ্চুরি তুলে নিলেও ২৫ রান করে আউট হন অঙ্কন। দলীয় ২১৫ রানে বিদায় নেন সোহানও। এরপর নাঈম হাসান ২০ আর শূন্য রানে আউট হন খালেদ আহমেদ। ২৯ বলে ১৩ রান করে হাসান মুরাদ আর ৯ বলে ১ রান করে ক্রিজে অপরাজিত রয়েছেন এবাদত হোসেন। কিউইদের পক্ষে ৪ উইকেট নিয়েছেন জশ ক্লার্কসন, ২ উইকেট নিয়েছেন ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক।
৭ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ ’এ’ দল হাতে থাকা ২ উইকেট নিয়ে তৃতীয় দিনে লিডের প্রত্যাশায় মাঠে নামবে।
]]>