বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের দারুণ শট, টপ কর্ণার থেকে সেই উরুগুয়ের জালে। ২৩ বছরের আলমাদায় অবাক তার সতীর্থ, স্তব্ধ স্টেডিয়ামে আসা স্বাগতিকদের ৫৫ হাজার দর্শক।
ফ্রন্ট লাইনের তিন সদস্য মেসি-লাইতারো আর দিবালাকে ছাড়াই খেলতে নামে আর্জেন্টিনা। অবশ্য এ ম্যাচে ফরমেশন বদলান লিওনেল স্ক্যালোনি। পছন্দের ৪-৩-৩ থেকে একাদশ সাজান ৪-২-৩-১ এ। যেখানে হুলিয়ান আলভারেজকে টপে রেখে পেছনে ছিলেন আলমাদা, এনজো আর জুইলিয়ানো সিমিওনে।
আরও পড়ুন: উরুগুয়েকে হারিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপে এক পা আর্জেন্টিনার
শনিবার (২২ মার্চ) সকালে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আলমাদা বলেন, ‘কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিলাম, খেলার জন্য উম্মুখ ছিলাম এবং দেখাতে চেয়েছিলাম কেন আমি ডাক পেয়েছি। আমি অনেক শিখছি এবং মানিয়ে নেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
আলমাদা আরও বলেন, ‘এটা খুব কঠিন ম্যাচ ছিলো। তবে ঠিকঠাক মতোই সব করতে পেরেছি এবং জয় পেয়েছি। শুরুতে ভুগছিলাম, তবে একবার গুছিয়ে নেওয়ার পর আমরাই নিয়ন্ত্রণ করি এবং জায়গা বের করে নিই। এখন ভালোভাবে বিশ্রাম নেবো এবং ব্রাজিল ম্যাচের অপেক্ষায় থাকবো।’
আরও পড়ুন: ব্রাজিল ম্যাচের আগে আরেক হোঁচট খেলো আর্জেন্টিনা
আলমাদাকে আগে থেকেই চেনেন স্ক্যালোনি, সেই বয়সভিত্তিক দল থেকেই। লিঁওতে খেলা এই তরুণে মুগ্ধ আর্জেন্টিনার কোচ। ‘ইউরোপীয় ফুটবলে তার খেলা গুরুত্বপূর্ণ। অল্প কিছু ম্যাচেই সে ক্লাবে শুরুর একাদশে জায়গা করে নিয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, তার মাঝে কোচ কিছু একটা দেখেছেন।’
স্ক্যালোনি আরও বলেন, ‘আলমাদাকে আমি অনূর্ধ্ব-২০ দলে কোচিং করিয়েছিলাম। সে প্রতিটি বয়সভিত্তিক দল পেরিয়ে এসেছে, বিশ্বকাপেও ছিলো। তাকে ধাপে ধাপে এগোতে হবে। সে অবদান রেখেছে, দর্শনীয় একটি গোল করেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, দল যেভাবে চেয়েছে সেভাবেই খেলেছে।’
]]>