পঞ্চগড় সদর উপজেলার গড়িনা বাড়ি ইউনিয়নের চারোখুড়া গ্রামের বাসিন্দা সাবেক সেনাসদস্য আমিনুর রহমান আমিন। চাকরির অবসরে উদ্যোক্তা হয়ে অর্জন করেছেন সাফল্য। বাণিজ্যিকভাবে আবাদ করছেন ভিনদেশি সুপার ফুড কিনোয়া। বহু পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই কিনোয়ার আবাদ শুরু করায় বদলেছে তার ভাগ্য।
গত বছর পরীক্ষামূলক আবাদে কম খরচ ও পরিশ্রমে অন্য ফসলের তুলনায় আবাদ বেশি হওয়ায় এবার বাণিজ্যিকভাবে ১২ বিঘা জমিতে আবাদ করেছেন দক্ষিণ আমেরিকার ফসল সুপার ফুড কিনোয়া। গত বার এক জাতের শস্য আবাদ হলেও এবার আবাদে যুক্ত হয়েছে লাল, কালো ও হলুদ নিয়ে ৩টি রং।
আবাদ শেষে শস্য উত্তোলনের সময় হয়ে আসায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। এতে যেমন বেকারদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তেমনি কম খরচে উৎপাদন হওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয় চাষিদের।
আরও পড়ুন: ঘাটতি না থাকলেও কেন বাড়ছে পেঁয়াজের দাম?
সাবেক সেনা সদস্য ও উদ্যোক্তা আমিনুর রহমান আমিন সময় সংবাদকে বলেন, ইউটিউব দেখেই ঔষধি গুণসমৃদ্ধ এই ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছি। গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে কিনোয়া আবাদ করে সাফল্য পেয়েছি। গত বছরের চেয়ে এবারো বেড়েছে এর চাহিদা। অল্প খরচে আবাদ বেশি হওয়ায় কিনোয়ার বীজ সারা দেশের কৃষকের কাছে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, নতুন এই ফসলের আবাদ ও চাহিদা দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন তারা। অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি অধিক লাভের আশায় আগামীতে কিনোয়া আবাদ করবেন বলেও জানান তারা।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম সময় সংবাদকে বলেন, এটি যদি আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারি, তাহলে পুষ্টির পাশাপাশি পুষ্টির অনেক উপাদান পাব। এটি আবাদ সহজ ও লাভের হার বেশি থাকায় আগামীতে আবাদ বৃদ্ধি পাবে।
জানা গেছে, প্রতি বিঘা জমিতে কিনোয়া চাষে খরচ হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। ৮০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে উঠছে ফসল। আর বিঘায় উৎপাদন হয় ৬ থেকে ৮ মণ কিনোয়া। এতে বহুবিদ পুষ্টিগুণ থাকায় চাহিদা রয়েছে ভালো।
জেলায় বর্তমানে ২১ বিঘা জমিতে এই সুপার ফুড আবাদ হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
]]>