সুন্দরবনে ৪ জেলেকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

২ সপ্তাহ আগে
মাছ ধরা মৌসুম শুরু হতেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের জলদস্যুরা। সুন্দরবনে যাওয়ার প্রস্তুতির সময় বন সংলগ্ন বিভিন্ন নদী থেকে সাত জেলেকে অপহরণ করেছে তারা। এর মধ্যে তিন জেলে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে এসেছে।

অপহরণের শিকার চার জেলে হচ্ছে মীরগাং গ্রামের সাকাত সরদারের ছেলে মো. ইবরাহিম, পারশেখালী গামের আব্দুল গফুরের ছেলে আব্দুল হামিদ, টেংরাখালী গ্রামের সুসুজন মুন্ডার ছেলে সুজিত ও কালিঞ্চি গ্রামের কেনা গাজীর ছেলে রকিবুল ইসলাম।
 

অপহরণের শিকার জেলেদের বরাত দিয়ে তাদের ফিরে আসা সহকর্মী আবুল হোসেন, আব্দুল আজিজসহ স্থানীয়রা জানান, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে তারা সুন্দরবনের গভীরে মাছ ধরতে যাওয়ার প্রস্তুত নিচ্ছিল। যার অংশ হিসেবে নৌকা ও জালদড়া মেরামতের কাজ করছিল তারা সুন্দরবনের দাড়গাং নদী সংলগ্ন খালে। এ সময় ছয় সাত জনের একদল জলদস্যু সোমবার ও মঙ্গলবার দুই দফা সেখানে হানা দেয়। এক পর্যায়ে তারা চারটি নৌকা থেকে উপরোক্ত চারজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
 

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ লালটু জানান, জলদস্যুরা নিজেদের কাজল বাহিনীর সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছে। তারা প্রতি জন জেলের মুক্তিপণ বাবদ মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছে। উক্ত জনপ্রতিনিধি আরও জানান তাদের এই এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি ৩/৪ দিন আগে ২৫-৩০ হাজার টাকার কাঁচামাল বাজার সদয় করে সুন্দরবনে পাঠিয়েছে।


আরও পড়ুন: লাখ টাকা মুক্তিপণের পর ফিরলেন অপহৃত ব্যবসায়ী মাহমুদুল

এ বিষয়ে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. ফজলুল হক জানান, এখন সুন্দরবনের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বৈধভাবে কেউ সুন্দরবনে যেতে পারছে না। আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে জেলেরা মাছ ধরার জন্য সুন্দরবন যাবে। 

তিনি আরও দাবি করেন, সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী খালে নৌকা প্রস্তুত করার কাজে নিয়োজিত কয়েক জেলেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে লোক মুখে শুনেছেন।
 

তবে নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় অপহরণের শিকার জেলে পরিবারের সদস্যরা তাদের কিছু জানায়নি।
 

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির মোল্লা জানান, কয়েকজন জেলেকে অপহরণের বিষয়ে তথ্য পাওয়ার পর ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে পুলিশ রওনা দিয়েছে। 
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন