এক বিবৃতিতে ভিক্টোরিয়া পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত সিন্ডিকেট সদস্যদের বেশিরভাগই ভারতীয় নাগরিক। তারা অস্থায়ী, স্টুডেন্ট বা ব্রিজিং ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছিল।
ডিটেকটিভ অ্যাক্টিং ইন্সপেক্টর রাচেলে সিয়াভারেলা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, চুরির অভিযোগে গ্রেফতার সদস্যরা শুধু নিজেদের জন্যই চুরি করছে না, বরং চুরি করা জিনিসপত্র একটি সমন্বিত অপরাধ চক্রের মাধ্যমে রিসিভারদের হাতে তুলে দিত।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে ধসে পড়ল সম্রাট হুমায়ুনের সমাধির গম্বুজ, নিহত ৫
পুলিশের দাবি, গত পাঁচ মাস ধরে এই চক্র বিভিন্ন সুপারমার্কেট থেকে শিশু খাদ্য, ওষুধ, স্কিন কেয়ার পণ্য, ইলেকট্রিক টুথব্রাশসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করে ‘রিসিভারদের’ হাতে তুলে দিত। পরে এসব পণ্য আবার বাজারে বিক্রি হতো।
আটকের একটি ফুটেজে দেখা যায়, একজন ব্যক্তিকে টুথপেস্টের বাক্স এবং মধু ভর্তি একটি ব্যাকপ্যাক বহন করতে গিয়ে আটক করা হয়েছে।
গত শুক্রবার পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারদের মধ্য থেকে সাতজনকে মূলহোতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে ভিক্টোরিয়া পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘মৃত ভোটারদের’ সঙ্গে চায়ের আড্ডায় রাহুল গান্ধী!
অস্ট্রেলীয় পুলিশ জানায়, ছিঁককে চুরি এখন ভিক্টোরিয়া অঙ্গরাজ্যে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা অপরাধগুলোর একটি। গত এক বছরে এ ধরনের ৪১ হাজার ২৭০টি অপরাধ রেকর্ড হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি।
রাচেলে সিয়াভারেলা বলেন, এটি সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠিত ছিঁচকে চুরি মোকাবিলায় আমাদের অন্যতম বড় অভিযান।
সূত্র: স্কাই নিউজ
]]>