নিহত গৃহকর্মীর নাম চম্পা বেগম (১৭)। তিনি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে।
বাসার মালিক রেজাউল করিম নিক্কু জানান, আমার বাসায় কাজ করত চম্পা। কিছুদিন আগে চম্পা গৃহকর্মীর চাকরি ছেড়ে ঢাকার গার্মেন্টসে চাকরি নেয়। গার্মেন্টসের বেতনে থাকা খাওয়া না পোষালে আবার আমার বাসায় ফিরে আসে। ঢাকার গার্মেন্টসে থাকা অবস্থায় রাকিব নামে এক ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
আরও পড়ুন: বনশ্রীতে শিশু গৃহকর্মী ধর্ষণের অভিযোগে গৃহকর্তা গ্রেফতার
তিনি জানান, সুনামগঞ্জে এসেও চম্পা নীচতলায় থাকা এক ছাত্রীর মোবাইল থেকে রাকিবের সঙ্গে ফোনালাপ করতো। ঘটনার আগের রাতেও আমাদের বাসার ট্যাবে চ্যাট করেছে এবং প্রেমিককে আত্মহত্যা করবে বলে জানায়। চম্পার হাতেও রকিবের নাম লিখে রেখেছে।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, মেয়েটির হাতে রকিব নামে এক ছেলের নাম লেখা পাওয়া গেছে। বাসার এক ট্যাবেও সে রাতে রাকিবের সঙ্গে চ্যাট করেছে। ফোনেও কথা বলেছে। আপাতদৃষ্টিতে সিম্পটম দেখে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। পোষ্ট মার্টেমের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
]]>