প্রায় এক বছর সময় ধরে নির্মাণ করা এই গাড়ির খরচ পড়েছে মাত্র এক লাখ টাকা। কাঠের কাঠামোতে বসানো হয়েছে সাধারণ ব্যাটারি আর ছোট মোটর। বিদ্যুৎ খরচ মাত্র ১০ টাকা, আর এতেই গাড়িটি চলে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার।
এই উদ্ভাবন সম্পর্কে আসলাম হোসেন বলেন, 'আমার স্ত্রী একদিন বলেছিল একটা গাড়ি থাকলে তাকে নিয়ে ঘুরতে যেতাম দূরে কোথাও। তখন সামর্থ্য ছিল না, কিন্তু ইচ্ছেটা ছিল প্রবল। সেই ইচ্ছা থেকেই শুরু করি কাজ। এখন আমরা দুজন মিলে এই কাঠের গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে আসি শ্বশুরবাড়ি, আত্মীয়-স্বজনের বাসায়, এমনকি বন্ধুর বাড়িতেও। মানুষ অবাক হয়ে দেখে, অনেকে ছবি তোলে, কেউ কেউ ভিডিও করে। যদি সরকারি সহায়তা পাই, তাহলে আরও ভালো মানের কাঠের গাড়ি বানাতে চাই।'
এই গাড়িটি দেখতে প্রতিদিনই আসছে উৎসুক মানুষ। কেউ পরিবার নিয়ে, কেউ একা, কেউবা দল বেধে আসলামের বাড়ির সামনে যেন পরিণত হয়েছে এক ব্যতিক্রমী দর্শনীয় স্থানে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম কাঠের স্যাটেলাইট তৈরি করলো জাপান
সিদ্ধিপাশা গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের এলাকায় এমন কিছু হবে ভাবতেও পারিনি। প্রতিদিন কত মানুষ আসে দেখতে, কেউ বলে ‘এই গাড়ি কীভাবে চলে?’, কেউ আবার বলে ‘বেচারামন গাড়ি’। আমরাও গর্বিত আসলাম ভাইয়ের এই কাজ দেখে।
আরেকজন স্থানীয় শিক্ষক মুনিরুজ্জামান বলেন, এই উদ্ভাবন শুধু বিনোদন নয়, এটা একটি বার্তা—যা তরুণদের দেখায় কীভাবে সীমিত সাধনে বড় স্বপ্ন পূরণ করা যায়।