বুধবার (০৪ জুন) সকালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবা চালু হয়। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে হাসপাতালের ফটকে অপেক্ষারত রোগীদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। সকাল ১০টার দিকে জরুরি বিভাগে রোগীদের সেবা দেয়া শুরু হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সীমিত পরিসরে চিকিৎসাসেবা চালু হয়েছে তবে যাদের অনেক সময় ধরে সেবার প্রয়োজন তাদেরও এ মুহূর্তে জরুরি সেবা নিয়ে চলে যেতে হবে।
সকালে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জানে আলম বলেন, আজ জরুরি বিভাগের সেবা চালু হয়েছে। জরুরি চিকিৎসার পরে কারও বাড়তি চিকিৎসার প্রয়োজন হলে সেটা আপাতত দেয়া হবে না কারণ সবেমাত্র হাসপাতাল খুলেছে। প্রথমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ হবে। চিকিৎসকদের সংখ্যা এখনও নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না।
এদিন সকাল হাসপাতালে প্রায় শতাধিক রোগীকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। এসব রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের বেশির ভাগ নতুন রোগী। কেউ কেউ এরইমধ্যে বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
গত বুধবার চিকিৎসক-কর্মচারীদের সঙ্গে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত রোগীদের মারামারি-সংঘর্ষের পর হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে যায়।
মঙ্গলবার (০৩ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফরসহ মন্ত্রণালয়, অধিদফতর ও হাসপাতালের কয়েকজন কর্মকর্তা আহতদের সঙ্গে সভা করেন। প্রায় তিন ঘণ্টার আলোচনা শেষে আবু জাফর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জরুরি বিভাগসহ সীমিত আকারে অন্য সেবা চালু করার ব্যাপারে কথা হয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত করবে। পরে মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান বলেন, বুধবার থেকে হাসপাতালের জরুরি সেবা চালু হবে। চারটি প্রতিষ্ঠানের চক্ষু বিশেষজ্ঞরা আহতদের চোখ পরীক্ষা করে দেখবেন কার সমস্যা কতটুকু, কাকে কোথায় চিকিৎসা নিতে হবে।
]]>