সুদানে সংঘাত অব্যাহত থাকায় মানবিক সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। বাস্তুচ্যুত হাজারো মানুষকে সহায়তা দিতে আরও অর্থের প্রয়োজন বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশের দখল নেয়ার পর আরএসএফের নৃশংসতায় শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
অক্টোবরের শেষ দিকে সেখান থেকে ১ লাখের বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে। অঞ্চলটিকে ‘ক্রাইম সিন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক কর্মকর্তা।
এমন অবস্থায় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরএসএফের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইইউ’র এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ব্লকে ভ্রমণ নিষিদ্ধ ও সেখানে থাকা সম্ভাব্য সম্পদ জব্দের সিদ্ধান্ত।
এদিকে সুদানের চলমান গৃহযুদ্ধ শুধু দেশটিকেই বিপর্যস্ত করছে না, এটি মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার ক্ষমতার ভারসাম্য বদলে দেয়ার মতো নতুন ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতে রূপ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুদানের চিকিৎসকদের অভিযোগ /‘গণহত্যার’ প্রমাণ লুকাতে লাশ পোড়াচ্ছে আরএসএফ!
বিভিন্ন গোয়েন্দা রিপোটে দাবি করা হচ্ছে, সুদানের সেনাবাহিনী অস্ত্র পাচ্ছে ইরান থেকে। ইরান, সৌদি আরব, মিশর, তুরস্ক সব দেশই সুদানের সেনাবাহিনীকে সমর্থন করলেও, দারফুরে গণহত্যায় জড়িত আরএসএফ পাচ্ছে আরব আমিরাতের অর্থ ও অস্ত্র সহযোগিতা।
লোহিত সাগর ঘিরে এই অবস্থান আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে ওয়াশিংটনের। গত শনিবার দোহায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আফ্রিকা দূত মাসাদ বুলোস সুদানের পরিস্থিতিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট’ বলে উল্লেখ করে, তিন মাসের মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। এদিকে, প্রয়োজন হলে সরাসরি জড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্পও।
বিশ্লেষকদের মতে, এখানে তেহরানের উপস্থিতি বাড়লে হুতি বিদ্রোহীদের জন্য নতুন সমুদ্র করিডোর খুলে যেতে পারে, যা বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য নতুন হুমকি। সুদান আবারও হামাস-হিজবুল্লাহর জন্য অস্ত্র সরবরাহের ট্রানজিট পয়েন্ট হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো।
]]>
১৪ ঘন্টা আগে
২







Bengali (BD) ·
English (US) ·