সীমাবদ্ধতায় ব্যাহত হচ্ছে রামেকের স্বাস্থ্য সেবা, ভোগান্তি

৩ সপ্তাহ আগে
১৯৫৮ সালের প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ১ হাজার ২০০। সরকারি এই হাসপাতালটিতে বহির্বিভাগ ও ৫৮টি বিভাগে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৬ হাজার রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। ফলে অধিকাংশ রোগীর ঠাঁই হয় ওয়ার্ডগুলোর মেঝেতে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তির পর ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দেখা মেলা না। প্রতিটি ওয়ার্ডে এক-দুজন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্স দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবার কাজ। চিকিৎসক ও ঔষধ সংকটসহ নানা সীমাবদ্ধতায় সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রোগীদের।


তিন দিন আগে পাবনা থেকে আসা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি রোজিনা খাতুন বলেন, চরম পেট ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। এখনও অসহ্য যন্ত্রণায় ভুগছি। সকালে একদফা ডাক্তার এলেও সারাদিন আর চিকিৎসকের কোনো খবর পাওয়া যায় না। চরম কষ্টের মধ্য দিয়ে পার করছি প্রতিটি মুহূর্ত।


একই সমস্যা নিয়ে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি এবাদুল হক।


আরও পড়ুন: জনবল সংকটে নিজেই ‘অসুস্থ’ পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স


হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক আবাসিক সার্জন ডা. মো. শহিদুল ইসলাম রবিন ও কর্তব্যরত নার্স সাইমা খাতুন বলেন, ‘ধারণ ক্ষমতার চেয়েও কয়েক গুণ বেশি রোগী ওয়ার্ডগুলোতে চিকিৎসা নেয়। এতে রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে তাদের হিমসিম খেতে হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রোগীরা তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা পায় না।’


এদিকে, অবকাঠামো উন্নয়ন, চিকিৎসক ও নার্স সংকটের বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. আবু তালেব।


রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা আছেন ২৮০ জন, ইন্টার্ন চিকিৎসক ২২০ ও নার্স রয়েছেন ১ হাজার ২০০।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন