সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে যে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

৩ সপ্তাহ আগে
৭৫'এর নীতিমালা মেনে চললেই এড়ানো যায় সীমান্ত উত্তেজনা। বাংলাদেশের তা মনে করিয়ে দেয়া উচিত ভারতকে। এমনটাই বলছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। বিএসএফের বেড়া নির্মাণ ঘিরে দুই দেশের সীমান্তের মানুষের মধ্যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে আগের তুলনায় একেবারেই বিপরীতমুখী বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক। যার সবশেষ নজির বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কেন্দ্র করে সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-নওগাঁ সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের সাধারণ মানুষের উত্তেজনাকর উপস্থিতি।


এমন অবস্থায় বিজিবির প্রতিবাদের মুখে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ বন্ধ করে দেয় বিএসএফ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয় ভারতের হাইকমিশনারকে।


বিশ্লেষকরা বলছেন, সীমান্ত এলাকায় যাতে উত্তেজনা আর না বাড়ে সে জন্য রাখতে হবে বাড়তি সতর্কতা। সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করার যে কথা বলা হয়েছে বাংলাদেশ-ভারতের ১৯৭৫ সালের সীমান্ত নীতিমালায় সেটিকে সম্মান জানানো উচিৎ দিল্লির।


সাবেক কূটনীতিক এম হুমায়ুন কবির বলেন, যেহেতু এখানে জনগণ সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে, তাই বিষয়টা হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। দুই দেশেরই নীতিগত পর্যায়ে যে যোগাযোগ হয় সেক্ষেত্রে এই বিষয়টাকে মাথায় নিয়ে, উত্তেজনা যাতে না বাড়ে সেজন্য উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন।

 

আরও পড়ুন: সীমান্তে ১৫০ গজের মধ্যে বেড়া নির্মাণ করতে পারবে না ভারত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা


তিনি বলেন, সীমান্ত থেকে ১৫০ গজের মধ্যে কোনো দেশই স্থায়ী কাঠামো গড়বে না- সেটা ভারত হোক কিংবা বাংলাদেশ। এটাই স্বীকৃত বিষয়। কাজেই তাদেরকে (ভারতকে) সেটা মনে করিয়ে দিতে হবে।


আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, এই যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সেটার যে ভিত্তি তা যদি জানতে না পারে তাহলে এই ক্ষোভ বাড়তে থাকবে। আর এই ক্ষোভটাকে অনেকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারও করবে।

 

আরও পড়ুন: সীমান্তে বেড়া নির্মাণে সহযোগিতামূলক মনোভাব আশা করে ভারত: হাইকমিশনার


বিশ্লেষকরা মনে করেন, দুই দেশের স্বাভাবিক ও ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের জন্য বাংলাদেশের পরিবর্তিত বাস্তবতাকে বিবেচনা নিতে হবে ভারতকে।


এম হুমায়ুন কবির বলেন, দুই দেশের স্বার্থে সম্পর্কটাকে যতো দ্রুত স্বাভাবিক করা যায় ততই আমাদের জন্য মঙ্গল।


অধ্যাপক ইমতিয়াজ বলেন, এখানে করার অনেক কিছুই আছে। যখন জনগণকেন্দ্রিক সম্পর্ক করবে এবং দুই দেশের লাভ হচ্ছে এমন একটা ভারসাম্য নিয়ে আসতে পারবে তখন আজকের যে সমালোচনা সেটা থাকবে না।


বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্পর্কের ক্ষেত্রে একপাক্ষিক নয়, ন্যায্যতার ভিত্তিতে দেখতে হবে উভয় পক্ষেরই স্বার্থই।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন