রোকন সুনামগঞ্জের মোল্লাপাড়া গ্রামের ছমির উদ্দিনের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ রুস্তুমপুর এলাকায় বসবাস করে সে পাথর ও বালু লুটপাটের সঙ্গে যুক্ত ছিল। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ৩ মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুলাই গভীর রাতে ধলাই নদীর লিজ বহির্ভূত এলাকা থেকে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে হামলার শিকার হন চার পুলিশ সদস্য। ওই রাতে ভোলাগঞ্জ গুচ্ছগ্রাম এলাকায় ধলাই নদীর তীরে টহলে ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ থানার এএসআই গোলাম নবী, কনস্টেবল জাফরুল, ইমরান ও মাসুম।
রাত দেড়টার দিকে দুটি স্টিল নৌকা ধলাই সেতু অতিক্রম করে সাদাপাথরের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। পরে ভোলাগঞ্জ এলাকায় গিয়ে নৌকা দু’টিকে আটকালে রোকন মিয়া ও তার দলবল পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এসময় রোকনের লাথিতে এএসআই গোলাম নবী গুরুতর আহত হন। কনস্টেবল জাফরুলও মারধরের শিকার হন। পরে আহতরা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
আরও পড়ুন: সাদা পাথরকাণ্ডে আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াদুদ গ্রেফতার
ঘটনার পরও সে সময় থানায় কোনো মামলা করা হয়নি। তবে দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর বৃহস্পতিবার রাতে রোকনকে আটক করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ বলেন, 'রোকন মিয়ার লাথিতে আহত এক পুলিশ সদস্য তিন মাস ধরে চিকিৎসাধীন। তাকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারের পর তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।'

৪ সপ্তাহ আগে
৭







Bengali (BD) ·
English (US) ·