সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন ওই পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়। তবে আজ সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল করেনি।
এর আগে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) জকিগঞ্জে একাধিক বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ কর্মসূচির ডাক দেন। এরপর রাতে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের উদ্দেশ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বাসচালক বাদী হয়ে অজ্ঞাত অর্ধশতজনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের ৬ জেলায় ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
জানা যায়, রোববার সকালে জকিগঞ্জের কামালগঞ্জ আব্দুল মতিন কমিউনিটি সেন্টারের পাশে এক জায়গায় (সড়কের পাশে) শিশু-কিশোররা ফুটবল খেলছিলো। হঠাৎ বল সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে চলে গেলে সেটি আনতে আবির আহমদ নামে এক কিশোর চলন্ত বাসের নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সেই বাস আটকে পার্শ্ববর্তী একটি স্কুলের মাঠে নিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, এটি ছাড়াও আরও অন্তত তিনটি বাস ভাঙচুর করা হয় এ সময়। এর প্রতিবাদে সোমবার পরিবহন শ্রমিকরা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।
আরও পড়ুন: সেতুতে টোল আদায় বন্ধের দাবিতে সুনামগঞ্জে পরিবহন ধর্মঘট চলছে
জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুহিত জানান, আইন হাতে তুলে নিয়ে বাস ভাঙচুর করা ও পোড়ানো সন্ত্রাসীর কাজ। আমরা এর বিচার চাই। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাসচালক বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের আবেদন করেছেন। আজ রাতের মধ্যে প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকাল থেকে পুরো সিলেট জেলায় কর্মবিরতি পালন করবেন বাসচালক ও শ্রমিকরা। আমাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করবে বাকি পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলোও।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস-মিনিবাস চলাচল করছে না বলে জানতে পেরেছি। বাস ভাঙচুরের দাবি করে রোববার রাতে হেলাল মিয়া নামের একজন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেটি আমরা তদন্ত করে দেখছি। উপজেলাজুড়ে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ।