রোববার (০১ জুন) ভোরে উপজেলার ৭নং লক্ষণাবন্দ বখতিয়ার ঘাট থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃতরা হলেন: একই এলাকার রিয়াজ উদ্দিন, তার দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমা বেগম, তাদের মেয়ে সামিয়া (১৪) বেগম ও আব্বাস আলী (৮)।
জানা যায়, শনিবার (৩১ মে) রাত ২টার দিকে টানা বৃষ্টির পর হঠাৎ একটি পুরোনো টিলা ধসে পড়ে। এতে টিলার পাদদেশের একটি ঘর মাটির নিচে চাপা পড়ে। ওই ঘরে স্বামী-স্ত্রীসহ ওই চারজন মাটিচাপা পড়েন। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা মাটি সরানোর চেষ্টা করেন, তবে তারা ব্যর্থ হন। এরপর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে একে একে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: সিলেটে টিলা ধসে প্রাণ গেল একই পরিবারের ৩ জনের
এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খলকুর রহমান জানান, রাত ২টার দিকে প্রবল বৃষ্টিপাতের সময় হঠাৎ রিয়াজ উদ্দিনের আধাপাকা ঘরের ওপর টিলা ধসে পড়ে। রিয়াজ উদ্দিন তার দুই স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে দুটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। টিলা ধসে পড়লে মাটির নীচে চাপা পড়েন ইয়াজ উদ্দিন, তার দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমা বেগম, মেয়ে সামিয়া বেগম এবং ছেলে আব্বাস আলী।
তবে অন্য কক্ষে প্রথম স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন। তারা অক্ষত অবস্থায় বের হয়ে আসেন।
ফায়ার ব্রিগেডের ইন্সপেক্টর টিলব সিকদার জানান, পাহাড় ধসের ঘটনার পরই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রতিবেশীরা মাটিচাপায় থাকা চারজনের মরদেহ উদ্ধারে চেষ্টা চালায়। ফায়ার ব্রিগেডকে খবর দেয়া হলে ভোরে তারা এসে উদ্ধারে নামে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিকের একটি দল।
অভিযোগ রয়েছে, গোলাপগঞ্জের লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নে পাহাড় কেটে একের পর একটা বসতি গড়ে তোলা হচ্ছে।