রোববার (১২ জানুয়ারি) ভোর থেকেই সূর্যের দেখা মিললেও ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে সকাল থেকে কুয়াশা না থাকলেও নগরীতে হিম বাতাসের ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুয়েরা। কাবু হয়ে পড়েছেন নগরীর শিশু ও বৃদ্ধরাও।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, সিলেটে রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে বিকেলের দিকে বাতাসের তীব্রতা কিছুটা বাড়তে পারে। ফলে হিম বাতাসের সঙ্গে রাতে কনকনে শীতও পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে নিপুণের ২ ঘণ্টার নাটকীয়তা, ধরা পড়লেন যেভাবে
তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন সিলেটের শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। বিশেষ করে সিলেটের গ্রামাঞ্চলের মানুষ। শীত ও ঠান্ডার কারণে কাজে বের হতে পারছেন না তারা। অনেক জায়গায় সকাল ৮টার পর সহসা সূর্যের দেখা মিলছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে হালকা কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে রাস্তাঘাট ও লোকালয়। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে জবুথবু অবস্থা নিম্ন আয়ের মানুষের। রাতে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছেন বয়স্ক ও শিশুরা।
শীতে কাবু মাইক্রো ড্রাইভার নিজাম বলেন, ‘সিলেটে ঘনকুয়াশার কারণে রাতে গাড়ি চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। ঠান্ডার কারণে গাড়ি চালানো যায় না।’
ভ্যানচালক রফিক বলেন, ‘এই শীতে ভ্যানের হাতলে হাত রাখতে পারি না। খুব কষ্টে রিকশা চালাচ্ছি। রিকশা চালিয়ে পরিবারের খাবারের টাকাই হচ্ছে না। শীতের কাপড় কেনা তো দূরের কথা। কেউ সহযোগিতাও করছেন না।’
আরও পড়ুন: সিলেটে ৫০ পিস ইয়াবাসহ আটক ১
আবহাওয়া অফিস জানায়, রোববার সকাল থেকেই সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-উত্তর পূর্বাংশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
]]>