এর আগে রোববার (৪ মে) দুপুর ১২ টার পর থেকে ২০ সপ্তাহের বকেয়া বেতন আদায়সহ ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন চা শ্রমিকরা। এসময় সড়কে অবস্থান করায় উভয়পাশে ২ কিলোমিটারের বেশি যানজট সৃষ্টি হয়। তবে সেনা বাহিনীর আশ্বাসে বিকেল ৩ টায় সড়ক থেকে সরে আসেন চা শ্রমিকরা।
তবে আশ্বাস পাওয়ার আগে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চা শ্রমিকরা লাক্কাতুরা এলাকায় সমবেত হয়ে মিছিল করেন। এসময় তাদের বিভিন্ন দাবি সংবলিত প্লে কার্ড ও লাল নিশান উড়িয়ে মিছিলে অংশ নেন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে বিদায় জানালেন সিলেটের নুরুল
চা শ্রমিকরা জানান, গেল কয়েক মাস ধরেই এই আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন তারা। সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ না থাকায় বাগানগুলোতে নেই কর্মপরিবেশ। পরিবারের সদস্যরা খেয়ে না খেয়ে জীবনযাপন করছেন অনেক দিন ধরেই।
তারা বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের কাছে তারা গিয়েছেন, তিনি কোনো সমাধান দিতে পারেন নি, আশ্বাস দিলেও বাস্তবে জেলা প্রশাসন তাদের কোনো দাবিই পূরণে এগিয়ে আসেনি। তাই বাধ্য হয়েই সড়কে নামতে হয়েছে।’
চা শ্রমিক নেতা ও সিলেট ভ্যালি সভাপতি রাজু গোয়ালা সময় সংবাদকে বলেন, ‘আমরা ৫ মাস ধরে বেতন পাই না মানে এই ৫ মাসের প্রতিটা দিন আমাদের ঘরে খাবার নেই। আমরা আন্দোলন করেও প্রশাসনের আশ্বাসের কোনো বাস্তবায়ন হতে দেখি না, আমাদের সমস্যা সমাধানে শুধু আশ্বাসই দেয়া হয়।’
আরও পড়ুন: কোরবানির ঈদ ঘিরে সীমান্তে সক্রিয় গরু চোরাচালান চক্র, ঝুঁকিতে খামারিরা
এদিকে, আন্দোলনরত শ্রমিকরা সড়কের ওপর অবস্থান নেয়ায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। সেনাবাহিনী ও পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিকবার চেষ্টা করেও চা শ্রমিকদের সরাতে না পারায় কেটে যায় ২ ঘণ্টা। সমস্যা সমাধানে আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ স্থলে পাঠানো এক কর্মকর্তাও। তবে তাতেও কাজ না হওয়ায় সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব নেন। পাশাপাশি আন্দোলনকারী শ্রমিকদের মধ্য থেকে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের নিয়ে আলোচনায় বসার আশ্বাস দেন তিনি। পরে বিকেল ৩ টায় সড়ক থেকে সরে আসেন আন্দোলনরত চা শ্রমিকরা, স্বাভাবিক হয় যান চলাচল।