এ অভিযানের একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আল জাজিরার ফ্যাক্ট-চেকিং এজেন্সি সনদ এসব ভিডিও যাচাই করে জানিয়েছে, ভিডিওতে বুধবার (২৭ আগস্ট) কিসওয়ায়র বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি হামলার দৃশ্য দেখানো হয়েছে।
এদিকে সিরিয়ার একটি সামরিক সূত্র জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী চারটি হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ব্যারাকে অবতরণ করে অভিযান পরিচালনা করেছে। ইসরাইলি বাহিনী হেলিকপ্টারে করে কয়েক ডজন সেনা এবং অনির্দিষ্ট পরিমাণে অনুসন্ধান সরঞ্জাম নিয়ে আসে এবং ঘটনাস্থলে দুই ঘন্টারও বেশি সময় ধরে অবস্থান করে।
ইসরাইলি বাহিনী এবং সিরিয়ার সেনাবাহিনীর মধ্যে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনার একদিন আগে অর্থাৎ গত মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দামেস্কের দক্ষিণে ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। হামলায় সিরিয়ার সেনাবাহিনীর ছয় কর্মকর্তা নিহত হন।
গত ডিসেম্বের সিরিয়ায় দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল আসাদের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হয়। এরপর থেকে সিরিয়াজুড়ে বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা ও সম্পদে অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল।
আরও পড়ুন: গাজা শহরের বাসিন্দাদের তাড়িয়ে দেয়া হবে: ইসরাইলি সামরিক মুখপাত্র
সেই সঙ্গে সিরিয়ার গোলান মালভূমির ‘অসামরিক বাফার জোন’ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিজেদের দখল অভিযান আরও বিস্তৃত করে ইসরাইল। এর মধ্যদিয়ে ইসরাইলিরা ১৯৭৪ সালে সিরিয়ার সঙ্গে সই করা কৌশলগতভাবে সংঘাত থেকে পিছু হটে থাকার চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে দামেস্কের বাইরে নতুন করে অভিযান চালায় ইসরাইলি সেনারা। সিরিয়া সেই অভিযানের বিষয়ে নিন্দা জানায়। সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত সোমবার জানায়, মাউন্ট হারমন পাহাড়ের আশপাশে দেশটির সীমান্তের ভেতরে অবস্থিত একটি এলাকা দখলে নেয়ার জন্য ৬০ জন সেনার একটি দল পাঠিয়েছে ইসরাইল।
জায়গাটি সিরিয়া–লেবাননের সীমান্তঘেঁষা এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি পাহাড়ের চূড়ার পাশে। সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল শাইবানি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ইসরায়েল তাদের ‘সম্প্রসারণবাদী ও বিভাজন পরিকল্পনা’ এগিয়ে নিচ্ছে। এ জন্য দেশটি অসামরিক বা সমঝোতার মাধ্যমে নিরস্ত্র রাখা হয়েছে—এমন এলাকাগুলোয় গোয়েন্দা ও সামরিক স্থাপনা বানাচ্ছে।
আরও পড়ুন: লেবানন / মার্কিন কূটনীতিকের মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভ, ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান
সিরীয় কর্তৃপক্ষের নিন্দা জানানোর একদিন পরই মঙ্গলবার ড্রোন হামলা চালানো হয়। বুধবার এক বিবৃতিতে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের চরম লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করে এর নিন্দা জানায়।
]]>