শারা জানান, নতুন এই সরকার দেশটিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রশাসন গড়ে তুলবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মানবাধিকার সুরক্ষা ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনই হবে মূল লক্ষ্য। আসাদ যুগের অবসানের পর থেকেই দেশটিতে সরকার গঠনের চাপ আসছিলো পশ্চিমা বিশ্ব থেকে।
সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পরে যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ায় দেখা দেয় নানা মানবিক সংকট। এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারী ও অন্যান্য ধর্মের মানুষদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পার্থ্যক্যের দাবিও করে পশ্চিমা বিশ্ব।
একই সঙ্গে দেশটির ওপর চাপ আসছিলো অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের। পশ্চিমা সমালোচনার মুখে স্থানীয় সময় শনিবার (২৯ মার্চ) রাজধানী দামেস্কে এক আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বে নতুন সরকার শপথ নেন।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সিরিয়াকে শর্তের তালিকা ধরিয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্র
সিরিয়ার নতুন এই সরকারে প্রধানমন্ত্রী থাকবে না। আহমেদ আল-শারা নির্বাহী কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। তবে সরকার গঠনে এবার দেখা গেছে বিভিন্ন জাতিগত ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব।
নতুন সরকারের সাংবিধানিক ঘোষণা অনুযায়ী বলা হচ্ছে, ইসলামি আইনের মূলনীতি অক্ষুণ্ণ রেখে নারীদের অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। হিন্দ কাবাওয়াত নামের একজন খ্রিষ্টান নারী পেয়েছেন সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। ২৩ সদস্যের এই মন্ত্রীসভায় অন্যান্য সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন পেয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পদ।
এই সরকার পরিবর্তন ও উন্নয়নকে সামনে রেখে এগিয়ে যাবে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে একটি উজ্জ্বল ও টেকসই ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হবে সিরিয়া । কঠোর পরিশ্রম ও আন্তরিকতা, পাশাপাশি জনগণের সহযোগিতাই এই লক্ষ্য অর্জনের মূল চাবিকাঠি।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় নতুন সংবিধান ঘোষণার বিরুদ্ধে কুর্দিদের বিক্ষোভ
আহমেদ আল-শারা জানান, এই সরকার আগামী পাঁচ বছরের জন্য থাকবে। কাজ করবে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটির অর্থনৈতিক ও সামাজিক পুনর্গঠনের। পাশাপাশি দেশটিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবে নতুন এই সরকার।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, সিরিয়ার এই রূপান্তর আসলেই গণতন্ত্রের পথে এগোচ্ছে নাকি কেবলই পশ্চিমা চাপের ফলাফল, তা সময় বলে দেবে।
]]>