সিউল কেন্দ্রীয় মসজিদের সাবেক ইমামের মৃত্যু

১ সপ্তাহে আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল কেন্দ্রীয় মসজিদের চতুর্থ ইমাম সুলাইমান লি হেং-লে ইন্তিকাল করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় বিকেলে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। এই গুণী ইমামের মৃত্যুতে কোরিয়ার সর্বস্তরের মুসলমানদের মাঝে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে। শনিবার (১৭ মে) সকাল ১১টায় সিউল কেন্দ্রীয় মসজিদে সুলাইমান লি হেং-লের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

 

দক্ষিণ কোরিয়ার খাপ্পাই মসজিদের ইমাম আরিফুল ইসলাম সময় সংবাদকে বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার প্রবীণ ইমাম ও ইসলাম প্রচারের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, তৎকালীন সময়ে কোরিয়াতে ইসলাম ছিল একেবারেই অপরিচিত একটি ধর্ম, আর সেই কঠিন সময় থেকেই তিনি নিরলসভাবে ইসলাম প্রচারে নিজেকে নিবেদিত রেখেছিলেন। উনার মাধ্যমে বহু কোরিয়ান ইসলামের সঠিক পরিচয় পেয়েছেন এবং ইসলাম গ্রহণে উৎসাহিত হয়েছেন। তিনি ছিলেন কোরিয়ার মুসলিম সমাজের এক উজ্জ্বল পথপ্রদর্শক। আল্লাহ তায়লা ওনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’

 

আরও পড়ুন: বিশ্বের ধনী শহরের তালিকায় যে কারণে পিছিয়ে পড়ল সিউল

 

১৯৬১ সালে ইসলাম গ্রহণ করেন সুলাইমান লি হেং-লে। ইসলাম গ্রহণের পর থেকে বাকি সময় ইসলাম প্রচার ও মানবতার সেবায় নিবেদিত ছিলেন। সুলাইমান লি হেং-লে ১৯ বছর (১৯৯১-২০১০) সিউল কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

ইমাম সুলাইমান লি হেং-লে ১৯৬১ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং ১৯৬২ সালে মালয়েশিয়ার ক্লাং-এর মুসলিম কলেজ মালয়ায় ছয় মাস ইসলাম ধর্ম অধ্যয়ন করেন।

 

আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

 

১৯৭১ সালে তিনি কোরিয়া মুসলিম ফেডারেশনের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং কুয়েতের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে একজন ধর্মপ্রচারক হিসেবে তাকে কুয়েতে প্রেরণ করা হয়। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত কুয়েতে কোরিয়ান কর্মীদের লক্ষ্য করে দাওয়াহ কাজ পরিচালনা করেন। সুলাইমান লি হেং-লে ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সিউল কেন্দ্রীয় মসজিদে সম্মানিত ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন