বন্দর সূত্রে জানা যায়, এক সময়ের ‘মৃত’ বন্দর এখন আন্তর্জাতিক ও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। গত বছরগুলো তুলনায় দেশের আমদানিকৃত পণ্য বোঝাই কন্টেইনার আমদানি হয়েছে বেশি। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের ১২ মাসে যেখানে ২০ হাজার টিউজ (২০ ফিট দৈর্ঘ্যের একটি কন্টেইনারকে এক টিউজ বলে) কন্টেইনার আমদানি হয়েছে, সেখানে চলতি অর্থ বছরের সাড়ে ৪ মাসে ১৩ হাজার ৮৪৪ টিউজ কন্টেইনার আমদানি-রফতানি হয়েছে। পণ্য বোঝাই ৩২৪টি বাণিজ্যিক জাহাজ এসেছে।
বিদেশি রিকন্ডিশন গাড়ি আমাদানি হয়েছে ৪ হাজার ১৩৯টি। এ বন্দর দিয়ে সর্ব মোট পণ্য আমদানি-রফতানি হয়েছে ৪৪ লাখ মেট্রিক টন। সরকারের সহায়তায় আর ব্যবসায়ীদের প্রচেষ্টায় গত অর্থ বছরের তুলনায় আমদানি-রফতানিতেও সফলতা আনতে চাচ্ছে বন্দরটি। ২০২৪-২৫ অর্জন শেষে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে বেশি রাজস্ব অর্জনের পরিকল্পনা বন্দর কর্তৃপক্ষের। বন্দর ও সরকারের গ্রহণ করা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে বন্দর উন্নয়নের পাশাপাশি বন্দরের আয় করা রাজস্ব দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে সম্ভাবনাময় এ সমুদ্র বন্দর মোংলা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে গমের তৃতীয় চালান নিয়ে জাহাজ ভিড়ল মোংলায়
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষর উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান বলেন, ৯০ দশকে সমুদ্র বন্দরটি ‘মৃত’ বন্দরে পরিণত হয়েছিল। চ্যানেল নাব্যতা হারিয়েছিল, ফলে পণ্য নিয়ে জাহাজ আসতে পারতো না। আমদানি-রফতানিকারক ব্যাবসায়ীরাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল এ বন্দর থেকে। সেই ‘মৃত’ বন্দর আজ আন্তর্জাতিক মানের বন্দরে রুপান্তিত হয়েছে। কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে এ বন্দরে। জাহাজ আসছে, দেশ-বিদেশি ব্যাবসায়ীরাও এ বন্দর ব্যবহার করছে। তাই সরকার ও বন্দরের গ্রহণ করা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে বন্দর উন্নয়নসহ জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে মোংলা সমুদ্র বন্দর।
]]>
৩ দিন আগে
২






Bengali (BD) ·
English (US) ·