পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সুহিলপুর ইউনিয়নের উকিল গোষ্ঠীর সাদ্দাম মিয়া গত তিনদিন আগে আজিজের গোষ্টীর আক্তার হোসেনকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে থাপ্পড় দেয় ৷ এ ঘটনা নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এ বিষয়টি মিমাংসার জন্য বুধবার রাতে নন্দনপুর বাজারে গ্রাম্য সালিশ বসে। সালিশে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। এর পর উভয়পক্ষের লোকজন দুইদলে বিভক্ত হয়ে টর্চলাইট জ্বালিয়ে দেশিয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে পুলিশ সহ অন্তত ১৫ জন আহত হয় ৷
এদিকে সংঘর্ষের কারনে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে রাত ৭টা থেকে প্রায় ১০টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবারও টর্নেডো, ধরা পড়ল মোবাইলে
এদিকে সংর্ঘষ চলাকালে উত্তর সুহিলপুরে বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করাহয়। একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়।
ঘটনা সম্পর্কে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে প্রথমে সদর থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। পরে যৌথবাহিনী এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এতে সদর থানার পুলিশ সদস্য জিয়াউরসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
]]>
৪ সপ্তাহ আগে
১০







Bengali (BD) ·
English (US) ·