পুলিশ জানায়, স্থানীয় আবদুল গফুরের প্রতিবেশী প্রবাসী রাশেদ কয়েকদিন আগে দেশে আসেন। গত দুদিন আগে তার ঘর থেকে কিছু কাগজ ও একটি মুঠোফোন চুরি হয়।
চুরির ঘটনায় আবদুল গফুরের ছেলে মেহেদী হাসানকে দায়ী করা হলে এ ঘটনায় রোববার বেলা ১১ টার দিকে সালিশ বসানো হয় রাশেদের বাড়ির সামনে। তবে চুরির সঙ্গে মেহেদী জড়িত নয় দাবি করে সালিশে যায় নি বাবা-ছেলে৷ এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুপুর ১ টার দিকে সালিশে থাকা লোকজন আবদুল গফুরের বাড়িতে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাচাতো ভাইয়ের ইটের আঘাতে যুবক নিহত
এসময় প্রতিরোধের চেষ্টা করে গফুরের লোকজন। এর জেরে আবদুল গফুরের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো শুরু করে সালিশের লোকজন। এ সময় আবদুল গফুর ও তার ছেলেকে রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে ঘটনাস্থলেই হত্যা করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং জড়িত থাকার অভিযোগে পলাশীহাটা গ্রামের মো. রিপন (৩২), নাওগাঁও গ্রামের মোজাম্মেল হক (৬৫), আল আমিনকে (১৩) আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর হামলায় ভাসুর নিহত
ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। হত্যার ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।