বুধবার (১৪ মে) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ দাবি জানান সারজিস।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হয়ে উঠেছে চাঁদাবাজি, মাদক সেবন সহ বিভিন্ন অপকর্মের আখড়া। অথচ এই উদ্যান সংলগ্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট এবং অফিস থাকা সত্ত্বেও তারা এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কঠোর অ্যাকশন না নিয়ে এসবের ভাগীদার হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে আমরা আমাদের অনেক ভাই বোনকে বিপথে যেতে দেখেছি, একাধিক প্রাণনাশের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: বহিরাগতরা কেন মারল, সাম্যের বাবার প্রশ্ন
গত ১৩ মে দিবাগত রাতে সাম্যের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দেখেছি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দ্রুত কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক বলেও জানান সারজিস আলম।
তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক আর বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে নিয়মিত সাঁড়াশি অভিযান চালানো হোক, উদ্যান এলাকা সম্পূর্ণ নজরদারিতে আনা হোক। অপ্রয়োজনীয় ইট পাথরের অবকাঠামোগুলোকে ভেঙে প্রাকৃতিক এবং নিরাপদ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হোক।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সাম্য ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়।
সহপাঠী বায়েজীদ আব্দুল্লাহ জানান, ঘটনা রাত সাড়ে ১১টার। সাম্যের সঙ্গে তিনি এবং তাদের আরেক বন্ধু রাফি ছিলেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংশ্লিষ্ট রমনা কালীমন্দিরের গেট দিয়ে একটি মোটরসাইকেল করে বের হচ্ছিলেন তারা। এ সময় তাদের মোটরসাইকেলের সঙ্গে অন্য একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্যর সঙ্গে কী ঘটেছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
অন্য মোটরসাইকেলে থাকা আরোহী উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তার সঙ্গে থাকা ১০-১২ জন চারটি মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় তাদের সঙ্গে সাম্য এবং তার বন্ধুদের কথা কাটাকাটি হয়। যা মারামারিতেও রূপ নেয়। এক পর্যায়ে সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দলটি।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক বলেন, ‘সহপাঠীরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ডান পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।’
]]>