সাম্য হত্যা: ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে সহপাঠীদের বিক্ষোভ

১ দিন আগে
দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহতের ঘটনায় উপাচার্যের বাসভনের সামনে বিক্ষোভ করছেন সহপাঠীরা।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। সাম্যকে হত্যায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান তারা।

 

নিহত সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি সিরাগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বাসিন্দা ফখরুল আলমের ছেলে। সাম্য স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদকও ছিলেন বলে সূত্রে জানা গেছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শী সাম্যর বন্ধু বায়েজীদ আব্দুল্লাহ জানান, ঘটনা রাত সাড়ে ১১টার। সাম্য, বায়েজীদ আব্দুল্লাহ ও রাফি তিন বন্ধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন রমনা কালীমন্দিরের গেট দিয়ে একটি মোটরসাইকেলে বের হচ্ছিলেন। এ সময় তাদের মোটরসাইকেলের সঙ্গে অপর একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে।

 

অপর মোটরসাইকেল থাকা আরোহী উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তার সঙ্গে থাকা আরও ১০-১২ জন চারটি মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের সঙ্গে সাম্য এবং তার বন্ধুদের কথা-কাটাকাটি হয়। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে পড়েন সাম্যরা। দলটির প্রত্যেকে মারধর করতে শুরু করেন সাম্যদের। মারামারির এক পর্যায়ে সাম্যকে ছুরি দিয়ে জখম করে বসেন একজন। আহত হন দুই বন্ধুও।

 

বায়েজীদের ভাষ্যমতে, ওই দলটির কেউই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নয়। তাই তাদের কাউকেই চিহ্নিত করতে পারেননি তারা। কিন্তু একজনকে আটকে রাখা হয়েছিল। সাম্যর অবস্থার অবনতি হচ্ছে দেখে তারা তাকে সেখানে উপস্থিত লোকদের হাতে তুলে দিয়ে সাম্যকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে তাকেও ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানা গেছে। আর হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক সাম্যকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্যর সঙ্গে কী ঘটেছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

 

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক বলেন, ‘সহপাঠীরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ডান পায়ে ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘সহপাঠীরা জানান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে কথা কাটাকাটির জেরে দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাটি শাহবাগ থানা পুলিশকেও জানানো হয়েছে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন